
“সমুদ্রের মাঝে বেঁচে থাকা বন্ধুদের স্মরণে”
হে জয়েন্দ্র চেয়ে দেখো, মানুষ যে তোমার কোলে!
শত কোটি প্রাণ বেঁচে আছে, জলধির ছায়া তলে।
নির্দয় হইও না প্রচেতা, ‘নৃ’ ক্লান্ত জলেশ্বরের জলে,
অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে বলো, ফিরে আসবো স্থলে!
পুরো পৃথ্বী ভয়ে থাকে, নীলকান্তের তান্ডবলীলায়,
আমরা হোমো বেঁচেও থাকি, নিত্য তোমার সহায়।
লক্ষ নৌযান ভেসে বেড়ায়, অম্বুধির বুকের ডগায়,
ভেবে দেখো জাহাজ ছাড়া, সিন্ধুর রূপ হ্রাস পায়।
এ অধিলোকে, মানব আছে বলে ফুল তবো ফুটে,
মনুজ না থাকলে, খাদ্য থাকবে না উড়ন্ত বিহগের ঠোঁটে!
মৎস্যজীবিরা আছে বলেই, আজ বারিধির ভার কমে,
না হয় হাজার বছরে অম্ভোধি হতো মৃত্যুপুরীর যমে!
লবনাক্ততা অচলায় দিয়েছে, অম্বোনিধির সন্মান,
এ খনিজ পদার্থ স্থলের সম্পদ, না হয় তুমি হতে ম্লান।
অর্ণবের ক্ষমতা শুধু পানি, আর বেশি কিছু নয় পাথার!
তাই বলি শান্ত থাকো, না হয় ধ্বংস হবে পারাবার।
ওহে দরিয়া ইনসান আছে বলেই তো, নীধরির সব অহংকার,
আদমি যদি না থাকে তবে, অম্ভোনিধি চিরতরে অসার।
পণ করো ক্ষতি করবে না, জলধরের বুকে থাকা দ্বীপবাসীর
লোক খেপালে পরে পয়োধি, সায়রের সব কিছু হবে দাসীর।
লেখক: মোঃ আদিল মাহমুদ।