
এম দুলাল আহাম্মেদ,গুইমারা(খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি ॥
ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২১তম বর্ষপূর্তী উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ আর্টিলারী ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কর্তৃক আয়োজিত ২দিন ব্যাপী শান্তি মেলার শেষ দিনে সোমবার ৫উপজেলার কয়েক হাজার দর্শকের মন মাতালেন ক্লোজআপ তারকা কন্ঠ শিল্পী নিশিতা বড়–য়া। সন্ধ্যায় গুইমারা আর্মি ষ্টেডিয়ামে আয়োজিত শান্তি কনসার্টের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে আজ শান্তির সুবাতাস বইছে। উন্নয়ন, অগ্রযাত্রায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন ও শান্তির এ ধারা অব্যহত রেখে অচিরেই পার্বত্য চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হবে। এসময় গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম সাজেদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: শহীদুল ইসলাম, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, বিজিবি’র গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবুদল হাই, সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব, মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল নওরোজ নিকোশিয়ার, লক্ষ্মীছড়ি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মিজানুর রহমান, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া, গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেমং মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সামরিক-বেসামরিক পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ও তাদের পরিবারবর্গ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত কয়েক হাজার পাহাড়ী-বাঙ্গালী এতে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্টানের শুরুতেই স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনমুগ্ধকর নৃত্যের পাশাপাশি সেনা ও বিজিবি সদস্যরা তাদের অভিনয়ে পাহাড়ের ঐতিহ্য তুলে ধরেন। এরপর‘জি’ বাংলার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান মিরাক্কেলের কায়কোবাদ কৌতুক পরিবেশন করেন এবং সবশেষ খ্যাতিমান তারকা শিল্পী নিশিতা বড়–য়া গানে মাতিয়ে তুলে পুরো আর্মি ষ্টেডিয়াম।
নিশিতা বড়ুয়া এবং কায়কোবাদ গুইমারা আসার সংবাদে এলাকার পাহাড়ী-বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনা ও অধির আগ্রহ নিয়ে নিশিতাকে স্বচক্ষে দেখা ও গান শুনার অপেক্ষার প্রহর।ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতা নিয়ে মানুষের যতোটা না আগ্রহ ছিল,তাঁর চেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল ক্লোজআপ প্রতিযোগিতায় অন্যতম নিশিতাকে নিয়ে।কারন এটায় গুইমারাতে নিশিতা ও কায়কোবাদের প্রথম আগমন।সুরে,গায়কীতে সেনাবাহিনী,বিজিবি,আনছার ব্যাটালিয়ন,পুলিশ,সাংবাদিক,জনপ্রতিনিধি,প্রশাসনের লোকজন,পাহাড়ী-বাঙ্গালী হাজার-হাজার শ্রোতাকে মুগ্ধ করেছে তাঁর কন্ঠে গাওয়া গান।এ আয়োজন গুইমারাসহ পার্বত্যবাসীর মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির ভীত আরো মজবুত করবে বলে মনে করেন সুধীজনেরা