রাজশাহী মহানগরীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী মোঃ সবুজকে (২৪) মামলা থেকে বাঁচাতে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও কর্মীদের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময় ছাত্র/জনতার উপর বর্বরচিত হামলা, মারধর অগ্নেয়অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি বষণ, ককটেলের বিষ্ফোরন ও বিভিন্ন ধরনের ধারালো দেশীয় অস্ত্রহাতে মহানগরীজুড়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সোডাউনে অংশগ্রহণ করে। সেই যুদ্ধের সৌনিক ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ। সে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার কেদুরমোড় নদীরধার বসতির জাভেদের ছেলে। গত ৬ আগষ্ট ২০২৪ পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ ইব্রাহীম হোসেন সম্্রাট। তিনিও কেদুর মোড় এলাকার বাসিন্দা। ওইদিন ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ-সহ ৯জন পেছন থেকে সাংবাদিক সম্্রাটের উপর হামলা চালায়। এ সময় সবুজ তার মাথায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ মারে এবং তার অন্যন্য সহযোগীরা পুরো শরীরে হাসুয়া ও লাঠীসোটা দ্বারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ওটিতে নিয়ে চিকিৎসা দেন। তার আগেই রক্তক্ষরণে সম্্রাটে রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়। চিকিৎসা শেষে সম্্রাট বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বোয়ালিয়া থানার মামলা নং-২৮, তাং-২২/৮/২০২৪।
সাংবাদিক ইব্রাহীম হোসেন সম্্রাট জানায়, আমাকে যারা আঘাত করেছে তাদের কাউকে আমি চিনি না। মামলার পর তারা আমার সাথে যোগাযোগ করেছে, মামলা তুলে নিতে অব্যাহত ভাবে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আসামীরা জানেনা আমাকে কেন আঘাত করেছে। তবে আমার ধারণা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র/জনতা ও সাবেক সরকার দলের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র হাতে ছবি ভিডিও ধারণ করার জন্যই আমার উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ ও তার সহযোগীরা।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী সবুজ একবার জামায়াতের লোকজন ধরেছিলো মিমাংসার জন্য। বর্তমানে তার এলাকার স্থানীয় বিএনপির লোকজন আমার কাছে পাঠাচ্ছে মিমাংসার জন্য। ঘন ঘন লোক পাঠানো অব্যাহত রয়েছে। যাহা খুবিই বিব্রতকর। এদিকে আঘাতকারী সবুজ-সহ অন্য আসামীদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সার্বিক বিষয় নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে রয়েছেন বলেও জানান সম্্রাট।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মোঃ মেহেদী পারভেজ জানান, অপরাধী যেই হোক, ছাড় নাই। সাংবাদিককে আঘাতকারী মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। শিঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান ওসি।