ঝিনাইদহে নিবার্হী কর্মকর্তার বাস ভবনের ভিতরের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে চলছে গাছ নিধন!
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ- ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সংলগ্ন এলাকা, আবাসিক এলাকা ও নিবার্হী কর্মকর্তার বাস ভবনের ভিতরের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে চলছে গাছ নিধন। ২০-২৫ টি গাছ এক পায়ে দাড়িয়ে আছে। এলাকাবাসী বলছে পরিবেশের ভারসাম্যর নষ্টর কথা। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় নেই বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নির্বাহী কর্মকর্তাকে দোষালেন উপজেলা চেয়ারম্যান। তবে পরস্পর বিরোধী বক্তব্যও পাওয়া যায়। লোকমুখে জানা গাছ কাটার নাটের গুরু কর্মচারী জাহাঙ্গীর ও ড্রাইভার সাইফুল। সরেজমিনে দেখে যায়, থেমে থেমে কয়েক দিন ধরে গাছ কাটা হচ্ছে সদর উপজেলা সংলগ্ন অফিস এলাকা, আবাসিক এলাকা ও নিবার্হী কর্মকর্তার বাসভবনের ভিতরের গাছ। ২০ থেকে ২৫ টি গাছের মাথা ছাড়া আর কোন কিছু নেই। মেহগনি, আম, কড়ই, ক্যাকটাস, ছবেদা, দেবদারুসহ কয়েক প্রকার গাছ। গাছ গুলি যেভাবে আছে কাটা হচ্ছে তাতে করে কিছুদিন পরে এগুলো এমনিতে মারা যাবে। কোন গাছের একটি ডাল, কোন গাছের দুইট ডাল আছে, আবার কোনটি কাটা হয়েছে অর্ধেক, কোনটির ডাল কাটা হয়েছে। গাছ গুলি যেন এক পায়ে দাড়িয়ে আছে। অচিরেই এগুলো মারা যাবে বলে তারা জানান। সামনে আমের মুকুল আসবে এখুনি এগুলো কাটা হচ্ছে। গরম শুরু হলে প্রকৃতির বিরুপ প্রভাব পড়বে। লোকমুখে জানা গাছ কাটার নাটের গুরু কর্মচারী জাহাঙ্গীর ও ড্রাইভার সাইফুল।গাছ কাটা শ্রমিক সনজের বলেন, আমরা দিন হাজিরাই কাজ করছি। স্যাররা আমাদের গাছ গুলো কাটতে বলেছেন। তাদের নির্দেশে গাছ গুলি কাটা হচ্ছে।গীষ্মের খর তাপদহে জীবধাত্রী ধরিত্রীর বক্ষর বিদুর্ণ হয়ে যায়। চৌচির হয়ে যায় তার তৃষার্থ প্রান্তর। খরতর দুপুরে বৃক্ষ তখন প্রানী জগতে ধেয়ে আসে প্রশান্তির ছায়ায়। অথচ সচেতন ও উর্দ্ধতন সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন বন সম্পদ রক্ষা করাতো দুরের কথা বরং বৃক্ষ নিধন করে প্রানী জগতকে আরো হুমকির সম্মুখে ফেলে দিচ্ছেন। আর সেই কাজটি বর্তমানে করেছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম তার কর্মচারী জাহাঙ্গীর। প্রথমে মোটা গাছের ডালপালা কেটে নেরা করা হচ্ছে। পরে গাছ গুলি অকসনে বিক্রি করা হচ্ছে। ইতিপুবে কোটচাঁদপুরে এমনই ঘটনা ঘটিয়েছেন এই দুই ব্যক্তি বলে লোকমুখে শোনা যায়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পরে বলেন ইউএনও সাহেব গত মাসে তাকে একটু বিষয়টি জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন তাকে লিখিত ভাবে কিছু জানাননি ইউএনও। নিজেকে আহ্ববায়ক করে কমিটি করার কথা সাংবাদিকদের জানান নি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম বলেন আমি এখন বাইরে আছি। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় নেই। তবে ২ ঘন্টা পর, সাংবাদিকদের আসার কথা বলেন। এরপর তিনি বলেন সৌন্দর্য বর্ধন, বিদ্যুতের তার ও ছাদের কারণে গাছগুলো কাটা হচ্ছে বলে জানান। পরে টেন্ডারের মাধমে এগুলো অকশান করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।