
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ছকু মিয়া নামে এক রিকশা চালকের মরদেহ দাফনের ১৮ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুন) দুপুরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লোকমান হোসেনসহ সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বাদী ছকু মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক বলেন, মন্টু মিয়া গংদের নির্যাতনের শিকার হয়ে আমার বাবা ছকু মিয়া মারা গেছে। আমাকে ঘরে তালা দিয়ে বাবার লাশ কবর দেয় তারা। এখন আমাকে ও আমার এতিম বোনকে তারা বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি ওদের বিচার চাই।
সাদুল্লাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
এরআগে গত ১৬ জুন নির্যাতনে ছকু মিয়ার মৃত্যুর অভিযোগে তার ছেলে মোজাম্মেল হক আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারক শবনম মুস্তারী সাদুল্লাপুর থানাকে মামলা রেকর্ডভুক্ত করে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনসহ প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য; সাদুল্লাপুর উপজেলার পূর্ব দামোদরপুর গ্রামের ৬ ভাই আলমগীর, আংগুর, রনজু, মনজু, সনজু ও মন্টু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দাদনের ব্যবসা করছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ছয় ভাইয়ের সঙ্গে রিকশাচালক ছকু মিয়ার পারিবারিক ও দাদনের টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এছাড়া ছকুর ছেলের সঙ্গে মন্টু মিয়ার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে পুনরায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গত ১৫ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছকু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করেন ৬ ভাইসহ তাদের লোকজন। পরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ছকু মিয়া মারা যান।