মোঃ জহির রায়হান-সিরাজগঞ্জঃ- সিরাজগঞ্জ সদর থনার এসআই ও এএসআই এর বিরুদ্ধে আসামী ধরতে গিয়ে আসামীর ৮ মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের খুড়ারগাঁতী গ্রামের দিনমজুর খাইরুল ইসলামের নামে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই তাকে আটক গেলে বাধা দেন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রেখা খাতুন। কিন্তু এ সময় তার পেটে লাথি ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ সদর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা ও এএসআই কুতুবের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বাগবাটি ইউনিয়নের খুড়ারগাঁতী গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেনের সঙ্গে পানিয়াবাড়ী গ্রামের আসতাহারের ছেলে গোলাম মওলার বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত বুধবার দুপুরে খুড়ারগাঁতী গ্রামে সিরাজগঞ্জ সদর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা ও এএসআই কুতুবের পক্ষে ১০-১২ জন কনস্টেবল খাইরুল ইসলামের বাড়িতে যায় তাকে আটক করতে,এ সময় তাকে আটক করতে স্ত্রী বাধা দিলে তার পেটে লাথি মারলে সে অসুস্থ হয় পড়ে। পরদিন
তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে রেখা খাতুন হাসপাতালের ২য় তলার ২নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
রেখা খাতুন বলেন, এসআই গোলাম মোস্তফা আমার স্বামীর হাতে হান্ডক্যাপ লাগানোর চেষ্টা করলে আমি বাধা দিলে পুলিশ আমার তলপেটে লাথি মারে ও খাইরুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে আমার অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।এ ব্যাপারে সদর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা কিছুই জানেন না দাবি করে বলেন, খাইরুল ইসলামকে ধরার সময় তার স্ত্রী বাধা দিলে একটু ধস্তা-ধস্তি হয়। এর বেশি আমি বলতে পারবো না।এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মো. দাউদ জানান, এই ঘটনা আমার জানা নেই। তবে একটি মারামারির মামলায় খায়রুলকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।