
জুবায়ের জিকো:
সিরাজগঞ্জে কাঠের লাঙ্গলের পরিবর্তে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে লোহার লাঙ্গল। কৃষি কাজে ব্যবহৃত কাঠের লাঙ্গলগুলো অনায়াসেই ভেঙ্গে যাওয়ায় আধুনিকতায় পরিবর্তন এসেছে কৃষিকাজে।
২৪ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের বানিয়া পুট্টি এলাকায় এই লাঙ্গল বিক্রি করতে দেখা যায়। কাজিপুর উপজেলার আমালের চর থেকে লোহার লাঙ্গল বিক্রেতা শাহজাহান আলী বলেন, কাঠের লাঙ্গলের পরিবর্তে দিন দিন লোহার লাঙ্গলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কাঠের লাঙ্গলগুলো ঘনঘন ভেঙে যাওয়ায় এমন আধুনিকতার ছোঁয়া মিলেছে।
এক জোড়া গরু অথবা মহিষের কাঁধে জোয়াল তুলে দিতে তাতে লাঙ্গল লাগিয়ে শত বছর ধরে হালচাষ করে আসছিল সিরাজগঞ্জ জেলার কৃষকেরা। শুধু শুধু সিরাজগঞ্জ বলে ভুল হবে হালচাষে গরু মহিষই ছিল একমাত্র ভরসা। তাই সচ্ছল কৃষক পরিবারগুলোর প্রত্যেক বাড়িতে ছিল গরু মহিষের একাধিক হাল। শুধু হালচাষ নয়, গরু মহিষ ব্যবহার হতো গাড়ি চালাতে। এখনো মাঝে মাঝে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি ও মহিষের গাড়ি কৃষিপণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার হতে দেখা যায়। তবে হালচাষে গরু ও মহিষের ব্যবহার এখনও রয়েছে। সারাদেশে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়েছে। লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ফসল চাষেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।