এস, এম. আশরাফুল ইসলাম (জয়) সিরাজগঞ্জ।
সিরাজগঞ্জের জেলায় গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। তীব্র তাপদাহে থেকে রক্ষা মিলছে না গবাদি পশু-পাখিরো, এতে করে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মানুষ তীব্র তাপদাহে হাত থেকে বিভিন্ন উপকরন বা ঠান্ডা পানি প্রাণ করে রক্ষা পেলেও রক্ষা মিলছেনা পশু-পাখির। গরুর তৃষ্ণা পেয়েছে বুঝতে পেড়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হৈমবালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র সালমান (কবির) কলটিপে ২০মিনিট পানি পাণ করাতে দেখা গেছে। তবে এইরকম কাজ সমাজে অপ্রতুল্য।
মাঝে মাঝে দখিনা হাওয়ার কারণে মানুষ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে। গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। প্রচণ্ড গরমের কারণে বিভিন্ন হাট-বাজার, মোড়গুলোতে তরমুজ, ডাব ও আখের রসের দোকান বসেছে। এসব দোকানে ভিড়ও বেশ। তাছাড়া গ্রমগুলোতে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে কিশোররা পুকুরে নেমে দীর্ঘক্ষন ডুব-সাঁতারসহ গোসল করছে।
অনেককেই দেখা গেলো, গরম থেকে বাঁচতে ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করতে। জেলার হাট-বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ তরমুজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, গত কয়েক দিন থেকে প্রচণ্ড গরমের কারণে তরমুজের খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি তরমুজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক প্রথচারী নিরূপায় হয়ে তারা গাছের তলে বসে সময় কাটাচ্ছে। বেশি অসুবিধায় পড়েছে শিশুদেরকে নিয়ে। প্রচন্ড গরমে শিশুদের জন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলার মার্কেট গুলোতে বিক্রি হচ্ছে অটো ফ্যান।
অনেক পিতা মাতাই অটো ফ্যান ক্রয় করে নিচ্ছেন। জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসারদের কাছ থেকে জানা যায়, প্রচণ্ড এই তাপদাহে বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে। রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ চলাচল করা যাবে না। শিশুদের খুবই যতেœ রাখতে হবে যাতে গরমের ঘাম তাদের শরীরে বসে না যায়। এছাড়া শারীরিক অসুবিধা মনে হলেই দ্রুত হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।