
নয়া আলো ডেস্কঃ- সুনামগঞ্জে একটি ব্রিজ নির্মানকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এই তোলপাড়ের মূল কারন হচ্ছে জেলার দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও-হাসকুড়ি গ্রামের রাস্তায় একটি ব্রীজে রডের বদলে বাঁশ দৃশ্যমান হওয়াকে কেন্দ্র করে।
অভিযোগ উঠেছে, এই ব্রিজে রডের ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ। এছাড়াও এর সাথে সকল প্রয়োজনীয় নির্মান সামগ্রী ছিল নিম্নমানের যা সম্পূর্ন নিয়ম বর্হিভূত কাজ। যার ফলে ব্রিজটি হেলে পড়েছে ও ফাটল দেখা দিয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয় লোকজন ব্রীজ নির্মানের সময় নির্মানকারীদের বার বার বলার পরও তারা কর্নপাত করেন নি। তারা তাদের মত করে কাজ করেছে।
জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তার কার্য্যালয় ও একাধিক সুত্রে জানা যায়, জেলা পূর্ব বীরগাওঁ ইউনিয়নের হাসঁকুড়ি রাস্তার জিল্লুর মিয়ার বাড়ির সামনের খালে ২৭লাখ ৯৪হাজার ২৫৬টাকা ব্যয়ে এই ব্রিজটি নির্মান করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্মাট এন্টারপ্রাইজ। অভিযোগ রয়েছে-নিয়ম অনুযায়ী সঠিক পরিমান ভাল মানের বালু,পাথর,সিমেন্ট ব্যবহারের কথা থাকলেও ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্টান নিন্ম মানের বালু,পাথর,সিমেন্ট ব্যবহার করেছেন। বর্ষার সময় পানির মধ্যেই নামমাত্র কাজ করেছে। ফলে সবার চোখের আড়ালেই রডের বদলে বাঁশের ফলা ও ছোট ছোট বাশঁ,ময়লা বালু,পাথর দিয়ে নির্মান কাজ করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন এর প্রতিবাদ করলেও কোন কাজে আসে নি।
পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূর কালাম বলেন,আমি ব্রীজ নির্মানে অনিয়মের কথা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জানিয়ে ছিলাম। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া বলেন,বিষয়টি মিথ্যা বানোয়াট। কারন দেড় বছর পূর্বে এই ব্রিজের কাজ সর্ম্পূন হয়েছে। তখন কেউ কোন অভিযোগ করেন নি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মোজাহিদ মিয়া বলেন, ব্রীজের ঢালাইয়ে বাঁশ ব্যবহারের কোন প্রশ্নই আসে না। এটা অসম্ভব বিষয়। নিচের দিকে যে বাঁশ দেখা যাচ্ছে তা শাটারিংয়ের সময় হয়তো লেগে থাকতে পারে। এব্রিজের কাজের সিকিউরিটির টাকা এখনও জমা আছে। কোন অসংগতি থাকলে সেটা মেরামত করে দেব।
জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল হক বলেন, আমি সুনামগঞ্জে নতুন এসেছি। ব্রিজ নির্মানে অনিয়ম হয়ে থাকলে অনিয়মকারীদের বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।