অন্যের জমি বর্গা ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ১২০ শতক জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন কৃষক জাকির হোসেন ও তাহের বেপারি। ফসলের মাঠ সবুজের সমারোহে ভরে ওঠায় আশায় বুক বাঁধেন তারা। কিন্তু খালে পানি না থাকায় ধানক্ষেত ফেটে চৌচির হওয়ায় দুই কৃষকের কপালে এখন দুশ্চিতার ভাঁজ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর হাওরে এবার ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান ও ২ দুই হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রবিশস্য আবাদ করেছেন কৃষক।কয়েকজন চাষির সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বোরো ধান আবাদ করেছেন তারা। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) চাঁদপুর সেচ প্রকল্পে পানি সংকট দেখা দেওয়ায় রামগঞ্জের খালে পানি নেই। এতে জমিতে সেচ দিতে পারছেন না চাষিরা। অনেক দিন ধরে এ অঞ্চলে বৃষ্টি না হওয়ায় ক্ষেত ফেটে চৌচির ও ধানগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে ধানের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
ইছাপুরের নয়নপুর হাওর এলাকার কৃষক আবুল হাশেম, মাসুদ, মনির হোসেন, নুরুল আমিন জানান, মৌসুমের শুরুতেই পানি সংকট দেখা যাচ্ছে। তারা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। ধান বিক্রি করে এনজিওর লোন পরিশোধ করতে না পারলে তাদের বসতভিটা বিক্রি করতে হবে। একাধিকবার আবেদন করলেও কৃষি অফিস ও চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের কোনো কর্মকর্তা এলাকা পরিদর্শনে আসেননি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের কর্মকর্তা কমল কুমার বর্মণের ভাষ্য, তিনি চাহিদামতো পানি সরবরাহের জন্য চাঁদপুর সেচ প্রকল্পে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছে অনেকবার ফোন করেছেন। দ্রুত সময়ে খালে পানি সরবরাহ করা হবে বলে তারা আশ্বস্ত করেছেন।
নদীতে পানি সংকটের কারণে সেচ প্রকল্পের খালে ১৮ ঘণ্টার জায়গায় ১২ ঘণ্টাও পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাউবোর চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ২-৩ দিনের মধ্যে ভেকু দিয়ে খালে খননকাজ শুরু করা হবে।