
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের হরিনা বাগবাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষকের বকেয়া বেতন না দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে। জানা গেছে, নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিনা বাগবাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের পদ বহাল রাখতে ১ অক্টেবার ২০০৭ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) জি এম জান্নাতুল ফেরদৌসকে বরখাস্ত করেন। সাথে সাথে বন্ধ করেন বেতনও। সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) জি এম জান্নাতুল ফেরদৌসের বরখাস্তর অভিযোগটি চুলচেরা বিশ্লেশন ও তদন্তের পর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে রাজশাহী বিভাগের বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবাশীষ রঞ্জন রায়ের স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৪/এস/৪২/২০২ অফিস আদেশে জানান, সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) জি এম জান্নাতুল ফেরদৌসের বরখাস্ত বিধি সম্মত নয় । পরবর্তীতে স্কুলে যোগদান করন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত প্রেরণ সহ বকেয়া বেতন প্রদানের পরামর্শ প্রদান করে। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর বেতন বন্ধ করায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন জি এম জান্নাতুল ফেরদৌস। এমতাবস্থায় সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মো: শফীউল্লাহ্ স্বাক্ষরিত স্মারক নং- ৪/এস/৪২/২০৭৮ একটি চিঠিতে সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) জি এম জান্নাতুল ফেরদৌসকে বকেয়া বেতন দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে র্নিদেশ প্রদান করেন। কিন্ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ উপেক্ষা করে এখন পর্যন্ত কোন বকেয়া বেতনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি। এছাড়াও হরিনা বাগবাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা ১.০০ একর জায়গা থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলামের যোগসাজশে বেদখল রয়েছে। জমি উদ্ধারের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে বিদ্যালয়ের জমি কিভাবে বেদখল হলো এবং এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জরুরী ভিত্তিতে অবহিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলেও দীর্ঘ ৫ মাস অতিবাহিত হলেও তার কোন জবাব দেননি। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় তার বেতন দেওয়া সম্ভব নয়। কমিটি অনুমোদন হলে মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নামে টালবাহানা দেখালেও ১৩/২/২০১৮ সালে নিয়মিত কমিটি থাকাকালীন সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) জি এম জান্নাতুল ফেরদৌস বকেয়া বেতনের জন্য আবেদন করলেও সেই সময় তার বেতন পরিশোধ করেননি। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মো: শফীউল্লাহ্ বলেন ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় তার বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । কিন্তু সাংবাদিকের পালটা প্রশ্নের উত্তরে কমিটি না থাকার পরেও কি ভাবে আপনি বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।