শরতে প্রকৃতি সেজেছে অপরুপ সাজে তাই বিলে আসন পেতেছে জলপদ্ম। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার মাগুড়া গ্রামে কয়েক একর বিল জুরে, হাটুঁ পানিতে ভাসছে পদ্ম। এছাড়াও চোখে পরে ভাতুরিয়া গ্রামের ধূলিয়া বিলে।
শিশু-কিশোরেরা পানিতে নেমে তুলে আনছে পদ্ম। ফুলন্ত ফুলের ভেতরে থাকা ফল মজা করে খায় শিশুরা। পদ্ম একটি সুন্দর জলজ উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম হবষঁসনড় হঁপরভবৎধ দেখতে গোলাপি অথবা সাদা রঙের হয়। এই ফুল পানির পৃষ্ঠদেশ থেকে কয়েক সেন্টিমিটার উচ্চতায় একটি বোঁটার ওপর ফুটে।
এর পাতা গাঢ় সবুজ ও গোলাকার। পানির ওপর ভেসে থাকে। পদ্ম পবিত্র ফুল হিসাবে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার হয়। ঢাকদহ গোপালপুর মন্দির পুরোহিত সতেন চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘দেবী দুর্গার পূজা শুরু হয় ষষ্ঠীতে বোধনের মাধ্যমে। অষ্টমী তিথিতে ১০৮টি জরপদ্ম দিয়ে দেবীর পূজা অর্চনা করা হয়। পদ্মে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, নারায়ণসহ অন্য দেবদেবীরাও তুষ্ট হন। ৬নং ভাতুরিয়া ইউনিয়ন চেয়াম্যান শাহাজাহান সরকার জানান, পদ্ম বাংলাদেশের সব জায়গাতেই পাওয়া যেত। এখন সহজলভ্য নয়।
নানা প্রতিকূলতার কারেণে এই জলজ উদ্ভিদটি আজ হুমকির মুখে। হরিপুর উপজেলার পদ্ম বিলের পরিচর্যা করা গেলে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা যেত বলে মনে করেন তিনি। জল পদ্ম।