
তিনি জানান, ‘ওনাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর সিটি স্ক্যানসহ সব ধরনের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। প্রথম দেখা গেল ওনার বুকে পানি এসেছে, এটা হার্ট ফেইলিউর–সংক্রান্ত। করোনার একটা জটিলতা হচ্ছে হার্ট ফেইলিউর হতে পারে। প্রথম তিন দিন চিকৎসা দেওয়ার পর ওনার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তারপরই উনি জ্বরে আবার আক্রান্ত হলেন। বুকে আবার পানি এল। একদিনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেল। এ অবস্থায় সিসিইউতে নিয়ে গিয়ে দখা গেল, অর্ধেক বুক পানিতে ভরে গেছে। চেস্ট টিউব দিয়ে বের করি। দেখা গেল পানি না রক্ত। প্রায় ১৮ দিন চেস্ট টিউবে পানি নিঃসরণ করা হয়। ভেন্টিলেটরে দেওয়ার জন্য পরিবারেরর মতও নেওয়া হয়েছিল। ৭ লিটারের মতো পানি বের করা হয়। পরীক্ষার সময় দেখতে পেয়েছি, হার্ট ফেইলিউর, কিডনি সমস্যা ছিল। লিভারেরও সমস্যা ছিল।’
তিনি বলেন, ব্লাড কালচার করে দেখেছি, হাসপাতালে যেসব জীবাণু থাকে, সেগুলো আক্রমণ করছে। দুই দিন ধরে কিছু নার্স, ডাক্তার, স্টাফ ডেলটা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের মেডিকেল বোার্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ অবস্থায় হাসপাতালে রাখাটা ওনার জন্য ঝুঁকিটা অনেক বেশি। এর মধ্য পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে সারা জীবনে রক্ত দেওয়ার নজির নেই।