বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের বেলুহার গ্রামের কাতার প্রবাসী কাজী উজ্জল (২৭) নামে এক যুবকের লাশ গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে পালিয়েছে চাচা ও তার সহযোগীরা। নিহত যুবকের পরিবারের দাবি পূর্ব শত্রæতার জের ধরে তার চাচা কাজী মাসুম পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সকালে বরিশাল মর্গে প্রেরন করেছেন।
নিহতর মা হাসি বেগম অভিযোগ করেন, তার ছোট দেবর মাসুমের সাথে দীর্ঘ দিন যাবত জমিজমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। কাতার প্রবাসী তার পুত্র কাজী উজ্জল করেনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম দিকে দেশে আসে। নয়মাস পূর্বে একটি সন্তান রেখে উজ্জলের স্ত্রী মারা যায়। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে উজ্জল তার ছোট চাচা মাসুমের গৃহে থাকে। বুধবার সে (হাসি) তার মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র বেড়াতে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুঠো ফোনে খবর পান তার ছেলের লাশ গৌরনদী হাসপাতালে ফেলে তার দেবর ও তার সহযোগীরা পালিয়েছেন। হাসিনা ও তার কন্যার ধারনা রাত ৭টার দিকে উজ্জলকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গৌরনদী হাসপাতালে নিয়ে আসে।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উজ্জল নামে এক যুবককে মৃত্যু অবস্থায় কয়েকজনে মিলে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রোগীর সাথে থাকা লোকজনের কথাবার্তা সন্দেহ হলে গৌরনদী মডেল থানায় খবর দেই। এর মধ্যে রোগী সাথে থাকা তার চাচা কাজী মাসুমসহ অন্যান্যরা রোগী ফেলে পালিয়ে যায়।
গৌরনদী মেডল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজেদুল হক খান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।