
শামীম খান ঝিনাইদহ-
বৃষ্টি বাদলের অলস দিন নেই। আকাশেও নেই ,গুরু গম্ভীর মেঘ মালা । নীল আকাশের ক্যানভাসে খন্ড খন্ড সাদা মেঘের দল । নদীর কুলে কুলে ও ফুলে ফুলে সুশোভিত সাদা কাশ বন । আবহাওয়ার গতি প্রকৃতিও যেন অনেকটাই নরম। বাতাসে শীতের আনাগোনা না থাকলেও অতোটা তীক্ষè নয়। রোদের খরতাপও । এমন প্রকৃতি যখন বাংলায় , তখন বুঝতে হবে এটি হেমন্তের কার্তিক। গ্রামের দিকে বিকেলে আর শেষ রাতে অনুভুত হয় শীতল আমেজ। বর্ষা পেরিয়ে গেলেও বর্ষার ছোয়া নিয়ে এ সময় প্রকৃতি সাজে প্রাগাঢ় সবুজে। নীল আকাশ শুভ্র কাশবন আর সবুজ সবুজ গাছ গাছালিতে বাংলার গ্রামগুলো এখন পঁেট আঁকা ছবির মতই অনিন্দ্য সুন্দর । কার্তিক মাসের প্রথমদিন পেরিয়ে আজ ৫ তারিখ। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে কার্তিক মাসের প্রথম দিনটি বছরের ১৮৬ তম দিন। শীত পড়েনি এখনো কার্তিক মাসে প্রকৃতি স্বচ্ছ সবুজ থাকে বলেই অনেকে বলে থাকেন বাংলাদেশ দেখতে হলে কার্তিকেই বের হতে হবে। আর প্রকৃতির কবি জীবননান্দ দাশ তো অনেক আগেই তার কবিতায় লিখে গেছেন আবার আসিব ফিরে, ধান সিঁিড়টির তীরে এই বাংলায় হয়ত মানুষ নয় হয়তবা শঙ্খচিল শালিকের বেশে হয়ত ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে । কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়। এই কার্তিকের বাংলায় মাঠে ঘাটে সবুজ ফলের বুকে প্রাণ আসে পেঁকে যায় ধান।সোনালী প্রান্তরে বেড়ে যায় কৃষকের ব্যাস্ততাও। কার্তিকের শেষদিকে গ্রামের মাঠে মাঠে ধান কাঁটার ধুম পড়ে। ছড়িয়ে পড়ে নতুন ধানের গন্ধে মৌ মৌ গন্ধ। অগ্রহায়নে কাটা হবে নতুন ধান। তবে এই মৌ মৌ গন্ধই আওয়াজ দিচ্ছে শীতের পদধ্বনির। ভোর আর সন্ধ্যায় ঠিক আগের আকাশও যেন বলছে শীত আর বেশি দুরে নেই।