কুমিল্লার হোমনায় পরকীয়ার জেরে বিকাশ ব্যবসায়ী মো. রমজান মিয়ার উপর হামলা চালিয়ে বিকাশ ব্যবসায়ীর কাছে থেকে অর্থ ছিনতাই ও ব্যবসয়ীকে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাতে এ ব্যাপারে আহত মো. রমজান মিয়া ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করে হোমনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আহত বিকাশ ও কসমেটিক ব্যবসায়ী রমজান মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করেছে। সে উপজেলার ৩নং দুলালপুর-কাশিপুর গ্রামের মো. আব্দুল হাকিম মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার দুলালপুর বাজারের নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে চিহ্নিত হামলা কারীরা তাকে ডেকে নিয়ে দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম গেটের ভেতরে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং তার কাছে থাকা নগদ ৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় অভিযুক্তরা হল- মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ (২০) পিতা মৃত ফখরুল ইসলাম, রাসেল (১৮)পিতা মকবুল হোসেন, মাহফুজ (৪০) পিতা হাবিবুর রহমান, ফয়সাল (১৯) পিতা আবু কালাম, ইয়াসিন (১৮) পিতা রফিক, আকাশ (১৭) পিতা মোজাম্মেল, একে এম সাদেক (৬০) পিতা কেরামত আলী, মোশারফ হোসেন (৪৮) পিতা আক্কাস মুন্সী।
এদিকে অভিযুক্তরা জানান, আমার চাচাতো ভায়ের বউকে সে নানা রকম ভাবে উত্যক্ত করতো, তাকে পূর্বে কয়েকবার নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু সে আবারো উত্যক্ত করায় তাকে আবারো নিষেধ করি, কিন্তু সে উত্তেজিত হয়। তখন দু পক্ষের সাথে হাতাহাতি হয় এবং টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
দোকান ব্যবসায়ী মো. রমজান মিয়া জানান, রাতে দোকান থেকে বাড়ির ফেরার পথে হামলাকারীরা আমাকে লাথি কিল ঘুষি ইট দিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে অতর্কিতভাবে আমার উপর হামলা করে। এসময় আমি চিৎকার দিলে স্থানীয়রা আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমাকে আহত করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায়, আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিকাশ ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Please follow and like us: