হোমনা প্রতিনিধি-
আসন্ন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২০ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ছিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে এ বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশী তিন ব্যক্তি। উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ১৩ মার্চ থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হয়ে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলে। প্রার্থী বাছাই করতে ২২ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিয়নে পৃথক সভা করে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমানের ছোট ভাই নাজিরুল হক ভূঁইয়াকে ইউনিয়নে একক প্রার্থী বাছাই করা হয়। তবে ছিদ্দিকুর রহমানের ভাইকে দলের একক প্রার্থী করতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইউনিয়নের মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনজন। এ ব্যাপারে ২৩ মার্চ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সেলে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের মহিষমারী গ্রামের বাসিন্দা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম ওরফে হেলাল, মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কায়সার ব্যাপারী ও যুবলীগের কর্মী মিলন ভূঁইয়া। জাকিরুল আলম অভিযোগ করেন, ‘আমিসহ কায়সার ব্যাপারী ও মিলন ভূঁইয়া দলীয় ফরম নিতে হোমনায় গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ছিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর ভাই নাজিরুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন লোক আমাদের বাধা দেন। নাজিরুল হককে একক প্রার্থী করতেই আমাদের মনোনয়ন ফরম নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পরে ২৩ মার্চ লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ নাজিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিতে কাউকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। এ কে এম ছিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নোটিশ দিয়ে খোলামেলাভাবেই দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে। কাউকে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যাঁদের নাম বলছেন, তাঁরা তো ফরম নিতে আসেননি। আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’ মিলন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনতে বাধা দেওয়ায় অভিযোগ দিয়েছি। দলের মনোনয়ন ফরম নিলে মারধর করারও হুমকি দেন তাঁরা।’ মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কায়সার ব্যাপারী বলেন, ‘ছিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিতে বাধা দেওয়ায় অভিযোগ দিয়েছি।