
তপন সরকার-হোমনা, কুমিল্লা হোমনায় ৩০ বছর পূর্বেও তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীকে দিয়ে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে গুম করার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন ভাই মনিরুজ্জামান ওরফে বালু মিয়া। গতকাল রোববার বেলা ১২ টায় হোমনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের মৃত আবদুল লতিফ সরকারের ছেলে মনিরুজ্জামান বালু মিয়া লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি ২৭ বছর সৌদি ওমান দুবাই কাতার চাকুরী করে আমার বড় ভাই মকবুল হোসেনের নামে জমি কেনার জন্য ১২ লাখ টাকা পাঠাই। কিন্তু ভাই আমার নামে জমি রেজিস্ট্রি না করে তার নামে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয় । এছাড়া তার ৩ ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে আমার নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা হওলাত নেয় । এছাড়া আমার পৈতিৃক সম্পত্তি গোপনে মকবুল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনের নামে বিএস খতিয়ান ভুক্ত করে নেয়। আমি ২০১৫ সালে দেশে এসে আমি আমার টাকা এবং সম্পত্তির ভাগ বুঝে নিতে চাইলে আমাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। বিষয়টি মিমাংসার জন্য একাধিক গ্রাম্য শালিস বসলেও মকবুল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন মানে না। পরে সে আমার নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে। সর্বশেষ গত ৬/১/২০১৬ তারিখ আমাকে ফাঁসাতে জাহাঙ্গীরকে গুম করার নাটক সাজিয়ে আমাকে সহ ৮ জনকে আসামী করে আদালতে একটি মিথ্যা গুমের মামলা করে। আশ্চর্যের বিষয় রাবেয়া বেগমকে বাদি সাজিয়ে গুমের মামলা সাজানো হয়েছে সে জাহাঙ্গীর হোসেনের ৩০ বছর আগের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীর নাম। জাহাঙ্গীরের নতুন স্ত্রীর নাম বেলাতন নেছা, পিতা: মৃত বাবর আলী, গ্রাম রাজাপুর, হোমনা, কুমিল্লা। মকবুল হোসেন আমার বড় ভাই, জমি জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আমাকে ফাসানোর জন্য আরেক ভাইকে গুম করার নাটক সাজিয়েছে। আমি আশংকা করছি, আমাকে ফাসাতে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করা হতে পারে। বিষয়টি গ্রামের লোকজনকে জানিয়েছি। আমি আমার ভাইকে ফেরৎ ও মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতির পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করার দাবী জানান। কথিত মামলার স্বাক্ষী আবুল কাসেম, শরিফ মিয়া, ময়নাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বলেন, যে গুমের মামলা হয়েছে গুম সম্পর্কে কিংবা মামলা সম্পর্কে আমরা জানিনা।