নিজস্ব প্রতিবেদক,মালদ্বীপঃ- থার্টি ফার্সট নাইট ২০১৬ ব্যনারকে আগুনে জ্বালিয়ে ২০১৭ উদযাপন করলেন মালদ্বীপের ফাইভ স্টার রিসট হোটেল গুলি, এরই ধারাবাহিকতায় আবার ২০১৭ ব্যনারকে আগুনে জ্বালিয়ে উদযাপন করলেন ২০১৮ সব দেশের দেশীয় নাচ, গান, বাজনার মাধ্যমে। রিসট হোটেল গুলিতে এই পোগ্রামের সাজসজ্জার আয়োজন শুরু করেন এক মাস আগে থেকে, আবার কেও কেওবা দুই মাস আগে থেকে। আমাদের কার জানার বাকি নেই যে ডিসেম্বর মাসে সব দেশের, সব স্কুল, কলেজ ও সমস্ত অফিস-আদালতের কাজ শেষ করার পর অনেক দিন বন্ধ থাকে আর সেই সময়টাই পুরো পরিবারকে নিয়ে ঘুরার সুযোগ হয়ে যায় আর তখনি সবাই ঘুরতে বেরিয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায় ও বিভিন্ন দেশে। মালদ্বীপ এটা খুব সুন্দর একটা দেশ। দেশটি সাগরের উপরে ছোট, ছোট প্রায় ৩৮০ টি দ্বীপ নিয়ে মালদ্বীপ। এদেশে প্রায় শতাধিকের বেশি দ্বীপে, ফাইভ স্টার রিসট-হোটেল আছে, হোটেল ব্যবসা, মালদ্বীপের দ্বিতীয় আয়ের উৎস। আর এদেশে আবহাওয়া খুবি সুন্দর এক ঋতুর দেশ মালদ্বীপ গরমের দেশ কিন্তু তেমন একটা গরম নয়, যা মানব দেহে ক্ষতি করতে পারে, বরং মানব দেহের জন্যে অনেক উপকারে আসে বাহিরের পর্যটকদের জন্যে। তাই মালদ্বীপে চলে যায় বাহিরের দেশের অনেক পর্যাটকরা ক্রিসমাস ও হ্যাপি নিউ ইয়ারের পার্টি গুলি তারা মালদ্বীপে ফাইভ স্টার-হোটেল গুলিতে উপভোগ করেন, অনেক আনন্দের মাঝে, মালদ্বীপে আসা পর্যাটকরা। তখন রিসট হোটেল গুলিতে রুম রেইট অনেক বেশি থাকে যা কিনা আগের চাইতে ছয় গুন দশ গুন বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সব গুলি কাজের মূল ভূমিকা পালন করেন বাংলাদেশীরা কিন্তু ভূমিকা পালনের প্রতিদান পাচ্ছে অন্য দেশীরা। দীর্ঘদিন ধরে সরজমিনে ঘুরে যা দেখলাম, এই ফাইভ স্টার রিসট হোটেল গুলিতে প্রচুর পরিমান বাংলাদেশীরা কর্মরত, কিন্তু যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পাচ্ছেনা ভাল কোন চাকরি। বাংলাদেশীদের দেওয়া হচ্ছে ছোট পদের চাকরি, আগে বাংলাদেশীদের রুমবয়,রেস্টুরেন্ট ওয়েটার, ভার ওয়েটার, হাউসকিপিং সুপার ভাইজার, মেন্টেনেজ সুপারভাইজার পদে চাকরি দেওয়া হত রিসট হোটেল গুলিতে অনেক টিপস পাওয়া যায় এসব পুষ্টে কিন্তু এখন আর রুমবয়, ভার ওয়েটার ও রেস্টুরেন্ট ওয়েটারে চাকরি পায়না বাংলাদেশীরা, আর যত বড় যোগ্যতাই থাক না কেন তাদেরকে করতে হচ্ছে লেবারের কাজ কিন্তু অন্যান্য দেশের এরা ঠিকি এসব কাজ গুলি করছেন। আবার বাংলাদেশীদের সুপারভাইজার পদে খুব কম দেখা যায়, কিন্তু অন্যান্য দেশের লোকেরা যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেয় চাকরি পেয়ে যায়, এটা নাকি ন্যাশনালিটির শক্তি বেশি তাদেরকে দিতে হবে নয়ত সমস্যা হবে। আবার দেখা গেছে যে একি পদে চাকরি কিন্তু বাংলাদেশীদের বেতন অনেক কম। যদি আমরা লক্ষ্য করি যে নেপাল, ফিলিপিন, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশীয়া দেশ গুলিতে মালদ্বীপের টাকার মান অনেক বেশি, যেমন মালদ্বীপের ১ রুপি, শ্রীলঙ্কা ১০ টাকা, আর মালদ্বীপের ১ টাকা বাংলাদেশে ৫ টাকা। আর নেপাল, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশীয়াতে, মালদ্বীপের ১০ টাকা কম করে হলেও এক বস্তা হবে, তার পরেও বাংলাদেশীদের বেতন কম। মালদ্বীভিয়ান কোম্পানি গুলিতে এমন অবস্থা চলছে আমাদের অভিযানে কয়েকটি কোম্পানির নাম উঠে এসেছে যেমনঃ ভিলা রিসট, পেরাডাইজ রিসট, হেরেতেরে সহ আর অনেক কোম্পানি এমন জুলুম করে যাচ্ছে বাংলাদেশীদের উপরে! আমাদের অভিযানে আর বিশেষ যেই কারন গুলি দেখতে পেলাম আমাদের বাংলাদেশের গভমেন্টের গাফেলতি আছে আমাদের দেশের গভমেন্ট যদি আরেকটু নজর দিত তাহলে বাংলাদেশীরা আর ভাল সুযোগ পেত কিংবা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পেত। যদি আমরা লক্ষ করি নেপাল, ইন্ডিয়া ও শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন সহ অন্যান্য দেশের সবাই যোগ্যতা ছাড়াই চাকরি পাচ্ছে। কারন তাদের দেশের গভমেন্ট অনেক শক্তিশালী, ভাবে ভূমিকা পালন করে মালদ্বীপেতে যা আমাদের দেশের গভমেন্ট করেনা কিন্তু গভমেন্টের জানার দরকার যে এটা আমাদের দেশের বিরাট বড় সম্মান ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, তাই গভমেন্টের এদিকে নজর দেওয়া জরুরী মনে করছি এতে করে আমাদের দেশের সম্মান ও অর্থনৈতিক অনেক উন্নতি হয়ে আসবে আশা করা যায়।