১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে বাগেরহাটে পালিত হয়েছে সুন্দরবন দিবস, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং সরস্বতী পূজা। দিনব্যাপী সকল ধরনের যানবাহনে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। রাস্তাঘাট সহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল মোটামুটি ভিড়। তবে জেলার বিভিন্ন স্থানে পসরা সাজিয়ে বসা দোকানগুলো ও খাবার হোটেল গুলোতে বেচা-কেনা তেমন একটা নেই বলে জানিয়েছে দোকানিরা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দর্শনার্থীরা ভ্রমণ করেছে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত ষাট গম্বুজ মসজিদ এবং খানজাহান আলীর মাজার।
সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে এ দিনে র্যালি ও আলোচনা সভা করেছে বাগেরহাট প্রেসক্লাব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ খালিদ হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি তালুকদার আব্দুল বাকী, সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস প্রমূখ। অপরদিকে পরিবেশকর্মী, নাগরিক নেতৃবৃন্দ, বনজীবিসহ সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার দক্ষিণ কাইনমারি এলাকায় বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষা এবং এর গুরুত্ব অনুধাবনে সরকারি ভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালন করার দাবিতে আলোচনা সভা ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাদাবন সংঘ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার।
দিনটিতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে বিদ্যা দেবীর আরাধনায় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে সরস্বতী পূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় এ উৎসবে অগণিত ভক্ত বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন। আবহমান বাঙালির অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করে হিন্দুদের পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষও উৎসবে যোগ দিয়েছেন। প্রতিটি পূজামণ্ডপের বাণী অর্চণায় সমবেত হয়েছে নানা সাজে সজ্জিত নারী, পুরুষ, আবাল- বৃদ্ধ- বনিতা। বিদ্যালয় ও মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে প্রসাদ বিতরণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ভালোবাসা দিবস কিংবা ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধব, স্বামী-স্ত্রী, মা-সন্তান, ছাত্র-শিক্ষক সহ বিভিন্ন বন্ধনে আবদ্ধ মানুষেরা এই দিনে একে অন্যকে তাদের ভালবাসা জানিয়েছেন। পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মোটামুটি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঐতিহাসিক ষাইট গম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলী মাজার, বারাকপুরের সুন্দরবন রিসোর্ট, চন্দ্রমহল সহ বিভিন্ন স্থানে ভিড় জমিয়ে একে অন্যকে ভালোবাসা জানিয়েছে তারা।
Please follow and like us: