উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতীতে একটি রাস্তার নির্মান কাজের ঠিকাদারের নিকট থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজ হাফিজুর রহমান ও তার ভাইসহ ৩-৪ জনের নামে রোববার দায়ের করা মামলা ২৪ঘন্টা অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে নড়াগাতী থানা পুলিশ রেকর্ড করেনি। এ নিয়ে ওই এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সর্বশেষ রোববার সকালে উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামে রাস্তা নির্মানস্থলে ঠিকাদারের শ্রমিকদের সঙ্গে ওই চাঁদবাজদের প্রতিরোধ করার ঘটনা ঘটে । সাইফুল ইসলামের অভিযোগে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া ইউপি ভবনের সামনে থেকে বিল ধুড়িয়া সড়কের কার্পেটিং নির্মানের ৯১ লক্ষ টাকার কাজটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, কালিয়া উপজেলা কর্তৃক কার্যাদেশ নিয়ে প্রায় ৬ মাস আগে ঠিকাদার কাজ শুরু করেন । রাস্তার কাজ শুরু করার পরই কলাবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাসেম মোল্যার পুত্র হাফিজুর রহমান বিপ্লব ও তার ভাইসহ ৩-৪জন ঠিকাদারের নিকট ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করতে থাকে। ১৮জানুয়ারী দুপুর দেড়টায় ঠিকাদার সাইফুল তার কাজের সাইডে তদারকি করতে গেলে আগ্নেয়অস্ত্রের মুখে তাকে হাফিজসহ তার সহযোগীরা আটক করে। একপর্যায় হাফিজকে নগদ দশ হাজার ও বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য হন। বাকি চাঁদার টাকা আদায় করতে হাফিজসহ তার সহযোগীরা ঠিকাদারকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। রোববার সকালে ঠিকাদারের কর্মরত শ্রমিকরা রাস্তায় কাজ করার সময় শ্রমিক সরদার নাজির হোসেন মোল্যা ও সহযোগী শ্রমিক সজীব মোল্যাকে চাঁদাবাজ হাফিজ ও তার লোকজন মারধর করলে সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চাঁদাবাজের ওপর চড়াও হয় এবং তাদের প্রতিরোধ করে। নড়াগাতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বেলায়েত হোসেন সোমবার দুপুরে বলেন, ‘দু’টি দরখাস্ত হস্তগত হয়েছে। পৃথক পৃথকভাবে সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’ অনুসন্ধানে জানা যায়,তার বিরুদ্ধে ২০০১ সালে সোহানুর রহমান ২০০৭ সালে কলাবাড়িয়া অগ্রনী ব্যাংক ম্যানেজার নিখিল রঞ্জন,একই বছর কলাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভূমি অফিসের তহশীলদার মেজবাউদ্দিন ও ওই বছরই নড়াগাতী থানার এসআই হুসাইনকে মারধোর করার অভিযোগ রয়েছে।