৩৮বিজিবি সদস্যরা গত এক বছরে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩২ কোটি ৫৯ লাখ ২ হাজার টাকার মালামাল আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারত থেকে আসার পথে ১৬ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার ৮২৫ টাকা ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার পথে ১৬ কোটি ৫৪ লাখ ৯১ হাজার টাকার মালামাল রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ১২ হাজার বোতল ফেনসিডিল ও ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১৭১ জন চোরাকারবারিকে ।
৩৮বিজিবির সদর দপ্তর সূত্রে জানাগেছে,সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত বছরের জানুয়ারি মাসে ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার ৬৩০টাকা,ফেব্রুয়ারি মাসে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬ হাজার ২৪০টাকা,মার্চ মাসে ১ কোটি ৪২ লাখ ২ হাজার ১৬৫ টাকা,এপ্রিল মাসে ২ কোটি১৪ লাখ ২২ হাজার ৬৭০টাকা,মে মাসে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার৭০২ টাকা,জুন মাসে ২ কোটি ৯১লাখ ৯২ হাজার ২৬০ টাকা,জুলাই মাসে ১ কোটি ৬০ লাখ ৯৭ হাজার ২২০ টাকা,আগস্ট মাসে ২ কোটি ৭১ লাখ ৮২ হাজার ২৩ টাকা,সেপ্টেম্বর মাসে ২ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার ৬৮২ টাকা,অক্টোবর মাসে কোটি ৪৮ লাখ ৭৮ হাজার ৯ টাকা,নভেম্বর মাসে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৯২ হাজার ৯ টাকা, ও ডিসেম্বর মাসে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯৭ লাখ ৫৩০টাকা।
এ সময়ের মধ্যে ১১ হাজার ৭০২ বোতল ফেনসিডিল,১০০ কোজি গাজা ও ৭লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০শ পিচ ইয়াবা ভায়্গা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ফেনিসিডিল,গাঁজা, সোনা, রুপা,কাপড়,জিরা, গরু,থান কাপড়পাথর, মাছ,চাসহ শতাধিক আইটেমের মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। সীমান্তের ভোমরা, কুশখালি, গাজিপুর, কুশখালি,তলুইগাছা,কাকাডাঙ্গা,মাদরা, ঝাউডাঙ্গা,চান্দুড়িয়া .হিজলদি ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ বিপুল পরিমাণ মালামাল আটক করা হয়েছে।
৩৮ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল সরকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান,সীমান্তের হত্যা ও মাদক পাচার রোধে বিজিবি জিরোটলরেন্স দেখানো হয়েছে। সীমান্তে কোন প্রকার চোরাচালান হচেছ না বললেই চলে। সীমান্তে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। চোরাচালান ও সীমান্তের আইন শৃংখলা ভাল রয়েছে। সীমান্তের সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলা হচ্ছে । এ জন্য সভা ও খেলাধুলার আয়োজন করা হচেছ। সীমান্তের চোরাচালানরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।