ধর্ষণ মামলায় অবিচারের শিকার ভোলার আ. জলিলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, এ ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়া রাষ্ট্রপক্ষের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হবে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নিজ কার্যালয়ে আ. জলিলকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এরআগে, ধর্ষণের অভিযোগে করা এক মামলায় ভুল আইনে বিচারের শিকার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আব্দুল জলিলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর দেওয়া এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
রায়ে বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমান বলেন, ‘কারাগারে থাকা আবদুল জলিলের আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে। বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড বাতিল করা হয়েছে। আসামি আব্দুল জলিলের জীবনের ১৪টি বছরের বিনিময়ে রাষ্ট্রপক্ষকে দণ্ডপ্রাপ্ত জলিলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করার আদেশ প্রদান করছেন আদালত। এছাড়াও অন্য কোনো মামলায় গ্রেপ্তার না থাকলে জলিলকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হল’।
রায়ের বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, রায়ে অনেক সময় এ রকম ভুলভ্রান্তি হয় এবং আদালত তার এখতিয়ারের ভিতরে থেকে এ রায়টি বাতিল করেছেন এবং পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন যে একটা লোক সে ওই সময় নাবালক ছিল অথচ তাকে সেইভাবে বিচার করা হয়নি। এবং অনেক কষ্ট তাকে পেতে হয়েছে এই মামলার জন্য।..আদালতের মতে এটা একটি মিথ্যা মামলা।
তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রপক্ষের চিন্তা এই জায়গাতেই, রাষ্ট্রপক্ষকে ওই যে আসামি তাকে ৫০ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছে। এটা তো রাষ্ট্রপক্ষ এখানে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়াটা রাষ্ট্রপক্ষের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের মামলায় এখানে রাষ্ট্রের কোনো ভুল নাই। এটার জন্য আসামি অবশ্যই খালাস পাওয়ার যোগ্য এবং তাকে যদি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে জরিমানাটা তার প্রতি আরোপ করা উচিত মিথ্যা মামলা যে করেছে।
মাহবুবে আলম বলেন, রাষ্ট্রকে ৫০ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছে এটা আপিল করা উচিত। কিন্তু রায়ে যে অন্যান্য পর্যবেক্ষণ আছে সেগুলো সম্বন্ধে আমাদের রাষ্ট্রপক্ষের কোনো বক্তব্য নেই।
তিনি বলেন,রাষ্ট্রপক্ষকে অবশ্যই জরিমানা করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষকে জরিমানা করা হয় এজন্য যে রাষ্ট্রপক্ষ তদন্ত সংস্থা, আদালত সবই রাষ্ট্রের অধীনে, এজন্য করা হয়। তবে ৫০ লক্ষ টাকা এটা অতিরিক্ত হয়ে গেছে।