উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■
জামায়াত-বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নিকট এখন মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছেন নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, ৪কি:মি: দাবড়িয়েনিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় ৫৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার খাশিয়াল গ্রামের জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। আটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবীর মুরাদ, যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাজিদুর রহমান, নড়াইলের কালিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান মিলু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার জরজ, দপ্তর সম্পাদক টিপু সুলতান, জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা তৈয়বুর রহমান, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সাবেক শ্রমিক দলের সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আখিদুল ইসলাম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে নড়াইল, যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, মাগুরা জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের বাড়িতে জড়ো হতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে। নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান, মাদের জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে ৪কি:মি: দাবড়িয়েনিয়ে বিএনপির ৫৯ নেতা-কর্মীর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁর নেতৃত্বেই অভিযানটি চালানো হয়েছে। নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন পিপিএম, আমাদের জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান,‘সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে গোপন বৈঠক চলছিল। এক সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলসহ অঙ্গসংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। অপরদিকে কজন ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই সাথে তিনি অর্জন করেছেন সমগ্র নড়াইলবাসীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার স্থান। নড়াইল পুলিশের এমন একজন মহৎপ্রাণ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সান্নিধ্য পেয়ে নড়াইলবাসী সত্যিই গর্বিত। খুলনা রেঞ্জ পুলিশের আওতাধীন নড়াইল সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মেহেদী হাসান অফিসার হিসাবে কর্মরত এই কর্মকর্তা নড়াইল সদর সার্কেলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং অপরাধীদের গ্রেফতার, মামলার তদন্তসহ সংশ্লিষ্ট জেলার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে কর্তব্য করে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্বে অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সকল ক্ষেত্রেই চরম ধৈর্য্য, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমী উদ্বুদ্ধ হওয়ার কারণে সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছেন। নড়াইল সদর থানা, নড়াইলের কালিয়া, নড়াইলের লোহাগড়া ও নড়াইলের নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নড়াইল গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, ডিআইও-১ সহ নড়াইল পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা বলেন, পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান একজন সৎ ব্যক্তি হিসেবে সর্বত্র জানাজানি রয়েছে। এ কারণে তাঁর কাছে কেউ অন্যায় আবদার নিয়ে যেতে চান না। তিনি অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। পুলিশ বিভাগে তাঁর মতো একজন সৎ নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ করছেন। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন, বলেন, আমি যে ক’দিন স্যারকে পেয়েছি, বুঝেছি তিনি একজন মহৎ ব্যক্তি। এ বিষয়ে নড়াইলের জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আমিনুজ্জামান,আমাদের জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, নড়াইল সদর সার্কেলের সকলেই জানেন, পুলিশের চৌকশ এই কর্মকর্তার সততার কথা,এস আই নয়ন পাটোয়ারীর,এসআই জামারত, এএস আই সোহেল, এএসআই হাসান, এএসআই কামরুল, কনস্টেবল আজাদ হুসাইন, ওবায়দুর রহমান ও জব্বার হোসেন জানান, তিনি অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা কাজেই এ সকল অপকর্মের সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, কেউই ছাড় পাবে না।