আবারও প্রতারনার ফাদঁ পেতেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক চিকিৎসা ইনস্টিটিউট মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এবার ডুমুরিয়ার ৬০ পল্লী চিকিৎসকদের ডাকে সার্টিফিকেট পাঠিয়েছে বলে অনেককে ম্যাসেজ দিয়েছেন। ওই ম্যাসেজে বলা হয়েছে পরীক্ষার ফিস ও আইডি চার্জ বাবদ সাড়ে ৫শ টাকা জন প্রতি দিয়ে সার্টিফিকেট নিতে।
ডুমুরিয়ায় ৬০পল্লী চিকিৎসককে রিফ্রেসাস ট্রেনিংয়ের নামে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ প্রাথমিক বাংলাদেশ প্রাথমিক চিকিৎসা ইনস্টিটিউট মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড সাড়ে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ২১ দিন ট্রেনিং দেয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৯ দিনেই শেষ হয়। খুলনা বা ঢাকা থেকে কোন প্রশিক্ষক বা কোন পরিদর্শক দল না আসলেও তাদের টিএডিএ দেখানো হয়। টেনিং শেষে সার্টিঠিকেট প্রদানের বিধান রয়েছে। ওই সার্টিফিকেটে খুলনা সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার স্বাক্ষর থাকার কথা। অনৈতিকভাবে মোটা অংকের টাকা নেয়ায় দু’কর্মকর্তা স্বাক্ষর না করায় এখনও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। বার বার তারিখ দিয়েও ওই প্রতিষ্ঠান সমাপনি অনুষ্ঠান ও সার্টিফিকেট দিতে গড়ি মসি করছেন। এদিকে ডাক যোগে সার্টিফিকেট দেয়া হবে বলে নতুন ফন্দি শুরু করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানটি। প্রশিক্ষন গ্রহনকারী বেশ কয়েক জনের ম্যাসেনজারে একটি ম্যাসেজে বলেছেন, ডাক যোগে সার্টিফিকেট পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফিস ৩শ টাকা এবং আইডি চার্জ ২শ ৫০ টাকা মোট সাড়ে ৫শ টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট উঠিয়ে নেন। ওই প্রতিষ্ঠানের জেলা প্রতিনিধি দাবি কারি আব্দুল কাইয়ুম এর ব্যবহৃত ০১৭১৩৫৮৯১৮৯ নম্বর মোবাইলে নতুন করে টাকা নেয়ার কারণ জানার জন্য ফোন করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার সুজাত আহমেদ বলেছেন, অনেক অসংগতির সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় ওই সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করা হয়নি। তবে আগের মত যদি এবারও তার স্বাক্ষর স্কান করে বসিয়ে দেয় তাহলে মামলা করবেন বলে তিনি জানান। ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুফিয়ান রোস্তম বলেছেন, অনেক অনিময়মের কথা জানার পর ওই সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করা হয়নি।
Please follow and like us: