বগুড়া ধুনটে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির জায়গা দখলের চেষ্টা ও বাড়ি নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের জোড়খালি গ্রামের মৃত সেকেন্দার মন্ডলের তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ মন্ডল, আবু তালেব মন্ডল ও জিল্লুর রহমান মন্ডলের নামে জোড়খালী মৌজার সাবেক ৪৮৬ দাগ ও বর্তমান ১২৪৫ দাগে তিন শতক জমি রেকর্ডভুক্ত হয়। পরবর্তীতে তালেব মন্ডল ও জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে দুই শতক জমি ক্রয়ের পর আব্দুল মজিদ মন্ডলের নামে তিন শতক জমি রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। এছাড়া একই দাগের দুই শতক জমি রেকর্ডভুক্ত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদের জেঠাতো ভাই আব্দুল খালেক মন্ডলের নামে। ওই তিন শতক জমির উপর বীর মুক্তিযোদ্ধার পুরাতন বাড়ি ছিল। গত সোমবার ওই বাড়িটি ভেঙ্গে ওই একই জায়গায় নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে আব্দুল খালেক মন্ডলের ছেলে ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম ও শিমুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম লোকজন নিয়ে গিয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ মন্ডলের বাড়ি নির্মাণে বাঁধা দেয় ও নির্মানাধীন বাড়ির প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে।
এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ মন্ডল বলেন, আমার পৈত্রকি সম্পত্তির উপর পুরাতন বাড়ি ভেঙে একই জায়গায় নতুন করে বাড়ি নির্মান করছিলাম। কিন্তু আমার জেঠাতো ভাই আব্দুল খালেক মন্ডল ও তার ছেলে জামায়াত নেতা সহ তাদের লোকজন আমার বাড়ির নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, তারা জামায়াত শিবির করে আর আমি মুক্তিযোদ্ধা। এই কারণে তারা আমাকে সহ্যই করতে পারেনা। আমার জমির সব কাগজ পত্র আছে। খাজনা খারিজের কাগজও আছে।
তবে আব্দুল খালেক মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবার নামে ২ শতক জমির রেকর্ড থাকলেও তাদেরকে আড়াই শতক জমিতে দিতে হবে বলে দাম্ভিকতার সাথে দাবি জানান তিনি।
ধুনট থানার এসআই নূরুজ্জামান বলেন, মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।