কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারে রবিবার ভোরে এক ভয়বহ অগ্নিকান্ডে ২২ টি দোকান পুড়ে ভষ্ম হয়ে প্রায় ৬ কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হল মুদি মালের দোকান নিতাই চন্দ্র সাহা, দুলাল বনিক,হাজী নজরুল ইসলাম, যুতিষ্টির ঘোষ, মুজিবুর রহমান,মহাদেব বনিক, গৌবিন্দ্র বনিক, মুরশিদ মিয়া, শামছুল হক, মুধু চন্দ্র দাশ, আব্দুস সালাম, বলাই দাশ, মরন চন্দ্র দাশ, শংকর চন্দ্র দাশ, মিষ্টি দোকান অজিত ঘোষের রাজু সুইট্স নারায় ঘোষের তমা সুইট্স, মহাদেব ঘোষের প্রভীর সুইট্স, হাজী জসিম উদ্দিন মেম্বারের ভূষা মালের গোডাউন, আযাদ বেকারী, আব্দুল আউয়ালের কাচামালের দোকান, ও রফিকুল ইসলামের গোড়ের আড়ৎ একবারে ই নিঃশেষ হয়ে যায়, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ভোর ৬ টার পর বিদ্যুৎ শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে নিমিষে ই আগুন ছড়িয়ে পরে, খবর পেয়ে মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘঠনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়, মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের স্ট্যাশন অফিসার মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন আমরা খবর পেয়ে ভোর ৬, ৫৫ মিনিটে এখানে পৌছি প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করতেছি বিদ্যুৎ শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বাকীটা তদন্তে আসবে।
রবিবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন মুরাদনগরের মাননীয় এমপি আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, (এফ.সি.এ) সঙ্গে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান- ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ ও বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ- মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার।
এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকদের সাথে কথা বলেন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে সংস্লিষ্টদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দেন।
Please follow and like us: