
বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির বিশ্বয়নে ও পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের চাহিদারও পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সাম্প্রতিক তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে অনলাইন পত্রিকা, টেলিভিশন সহ জাতীয় পত্রিকার অনলাইন ভার্সনের নিবন্ধন করতে হবে। এই প্রস্তাব মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। দর্শক ও পাঠকের দৃষ্টি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কর্পোরেট বিজ্ঞাপনও গিলে খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। অথচ এই সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রচলিত অ্যাপসগুলির কোন নিবন্ধন বা সরকারের সাথে কোন প্রকার চুক্তি নেই। বিজ্ঞাপন থেকে এরা হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করে নিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকার এ ব্যাপারে খুব একটি ভালো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। এমনকি এ সকল মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে বিশৃঙ্খলা তৈরী করলে তাদের নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না। বিদেশ থেকে অনেকেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বিবৃতি দিচ্ছেন হরহামেশা। অথচ নিয়ন্ত্রণে নেই এ সকল মাধ্যম। ওয়েব পোর্টালের নামে সমাজ ধ্বংস করলেও সেখানেও ভাল কিছু করা সম্ভব হয়নি। তাহলে আমাদের প্রশ্ন অনলাইনে নিবন্ধনের প্রয়োজন কেন ?
তিনি আরো বলেন, সরকার একটি নীতিমালা তৈরী করেছে বলে আমরা জানি। যেখানে একটি নিয়ন্ত্রন কমিশন তৈরী করে জবাবদিহীতা তৈরী করা যায়। খুবই উত্তম হবে। অন্যথায় নিয়ন্ত্রনের নামে যদি অনলাইন বন্ধ করা হয় তাহলে দেশের উদীয়মান হাজারো সাংবাদিক বিলীন হয়ে যাবে। সাথে সাথে বিজ্ঞাপন থেকে সরকার যে রাজস্ব আয় করতে পারতো তা বিদেশীদের পকেটে চলে যাবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করে অবাধ তথ্য প্রবাহ, জবাবদিহীতা নিশ্চিত করে নিয়ন্ত্রনের আহ্বান জানাচ্ছি।
Please follow and like us: