রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জন্য নির্মিত গাইনি বিভাগের অপারেশন থিয়েটার উদ্বোধনের তিন মাস পেরিয়ে গেছে। যন্ত্রাংশের অভাবে এখনো চালু করা যায়নি এটি। ফলে পুরনো একটি ওটিতেই কোনোরকম চলছে গাইনি বিভাগের অস্ত্রোপচারের কাজ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৫০-৬০টি অস্ত্রোপচার হয় গাইনি অপারেশন থিয়েটারে। একটি মাত্র ওটিতে এসব অপারেশন হওয়ায় রোগীদের সিরিয়াল পেয়ে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। এমন বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতে ২০২২ সালে উদ্যোগ নেওয়া হয় আলাদা নতুন এশটি গাইনি অপারেশন থিয়েটার বানানোর।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ এর তথ্য মতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রামেক হাসপাতালের নতুন গাইনি অপারেশন থিয়েটারের কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালে জুলাই মাসে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এতে ব্যয় হয় ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের নবনির্মিত অপারেশন থিয়েটার ঘুরে দেখা গেছে, ওটির অধিকাংশ জিনিস এখানে রাখা আছে। কোনোটি স্থাপন করা তো কোনোটি এখনো প্যাকেট করা। ওটির প্রবেশ পথের দেওয়ালে লাগানো আছে নামফলক। সেখানে লিখা আছে এটি উদ্বোধন করা হয়েছে ২ আগস্ট ২০২৩। অর্থাৎ উদ্বোধনের তিন মাস পেরিয়ে গেছে। তবে এটি এখনো চালুই হয়নি।
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. রোকেয়া খাতুন বলেন, আমাদের নতুন ওটি চালু হয়নি। আমরা পুরোনো ওটিতে কষ্ট করে কাজ করছি। নতুন ওটি চালু হলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। এখন দিনে ৫০-৬০টি ওটি হচ্ছে একটা ওটিতে। আর নতুন ওটি হলে সেখানে তিনটা রুম পাওয়া যাবে। তখন রোগীর চাপটাও কমে যাবে।
রাজশাহী গণপূর্ত-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এ বি এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা এটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছি ২০২৩ সালে জুলাইয়ে। এখন কিছু যন্ত্রাংশের জন্য চালু হচ্ছে না। আমাদের সব কাজ শেষ। ওখানে আমাদের আর কাজ নেই।
রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বলছে, প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাবেই এখনো এটি চালু হয়নি। নভেম্বরে এটি চালু হতে পারে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম এ শামীম আহম্মেদ বলেন, আমাদের গাইনির নতুন অপারেশেন থিয়েটারটি এখনো চালু হয়নি। শুধুমাত্র স্ট্রাকচার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এটি গণপূর্ত হ্যান্ডওভার করেছে।
তিনি আরও বলেন, আগের পরিচালক এই ওটির নতুন কিছু ডিমান্ড করেননি। আমাদের পুরোনো ওটির লাইটসহ সব কিছু বেশ পুরোনো। তাই এগুলো স্থানান্তর করা যাবে না। আমি আবারো নতুন কিছু জিনিস ডিমান্ড করেছি। এসি, লাইট, টেবিল অ্যানেস্থেসিয়া মেশিনসহ ৫০ শতাংশ মেশিন রিসিভ করেছি। বাকি মেশিন আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে পেয়ে যাবো। আশা করছি চলতি মাসেই এটি চালু করতে পারবো।