খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাাড়া বাজারে অগ্নিকান্ডে ১৯ টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
৪ অক্টোবর শনিবার রাত প্রায় ১ টা ৪৪ মিনিটের সময় হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হলে মূহুর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে।খবর পেয় স্থানীয় লোকজন,সেনাবাহিনীর সদস্য এবং মাটিরাঙ্গা ও রামগড় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ইসমাইল মার্কেটের ১৯ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী দোকান ব্যাবসায়ীদের। ১৯ দোকানের মধ্যে তেলের দোকান, মোটর গ্যারেজ, হোটেল, ফানিচারসহ নানা ধরনের দোকান ছিল।
কিভাবে আগুন লেগেছে তা কেউ বলতে পারেননি,তবে ফায়ার সার্ভিস ও দোকান মালিকের ধারণা বিদ্যুৎতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। পাহাড়ের বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গুইমারা উপজেলায় কিছুটা আতংক দেখা দেয়।
খবর পেয়ে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আকতার,গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী এবং সেনাবাহিনীর অফিসারগণ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আকতার ক্ষতিগ্রস্থদের সান্তনা দেন এবং সকলকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানিয়ে বলেন,উপজেলা প্রশাসন এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে আছে এবং যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করবে।
গুইমারা উপজেলা প্রতিষ্ঠার ১০ বছরের বেশী সময় অতিবাহিত হলেও এ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণ না হওয়ার কারণে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা,দুর্যোগ মোকাবেলা এবং জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য পরিসেবা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন।এমন জনগুরুত্বপূর্ণ পরিসেবা,ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।গুইমারাতে যদি একটি ফায়ার সার্ভিস থাকতো,তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা যেত। দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলায় একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের জন্য কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।










