কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বটতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, হয়রানি, সরকারি মালামাল লুট ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খালের মাটি, সড়কের গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের অপসারণের দাবিতে স্থানীয় এলাকাবাসী বটতলী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বিক্ষোভ মিছিলটি বটতলী বাজারের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে গিয়ে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, বটতলী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জামাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ, সাবেক ইউপি সদস্য আলী হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপি সেক্রেটারী গোলাম নবী হাজারী, আব্দুল বাতেন, অহিদুর রহমান, ফিরোজ মিয়া প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবক আতাউর রহমান খান, অধ্যাপক আফজালুর রহমান, কায়কোবাদ, মীর হোসেন, মীর আহম্মদ, আনোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা সোহাগ, রবিউল আলম, মহিন উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বটতলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল আওয়ামীলীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়ে বিএনপি সমর্থিত মেম্বারদেরকে সরকারি সকল বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করে ও তাদের সম্মানি ভাতা আত্মসাৎ করে। ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের বিভিন্ন সময় দলীয় ভাবে হয়রানি করে। এছাড়াও সরকারি খালের মাটি, অবৈধ ভাবে সড়কের গাছ বিক্রি, ভিজিডি চাউল বিতরণে অনিয়ম, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশ সনদ, মৃত্যু সনদ, জন্মসনদে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিগত দিনে আওয়ামীলীগের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা-হামলা দিয়ে পরিষদের সেবা থেকে বঞ্চিত করে। বক্তারা এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের অপসারণের দাবি জানায় এবং অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বটতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, আমার বিরুদ্ধে তারা যে সকল অভিযোগ করেছে এ গুলো মিথ্যা, আমি এগুলোর কোন কিছুর সাথে জড়িত নই।