
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলার পৌরশহরসহ ৭টি ইউনিয়নের হাটবাজারসহ সড়কের মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন দোকানে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। একই সাথে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ। নেই সংশ্লিষ্ট মহলের নজরদারী ।
সরেজমিনে পৌরশহরসহ কয়েকটি হাটবাজারে ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ দোকানে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স না নিয়েই দোকানীরা এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এলপি গ্যাস সিলিন্ডার এখন পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানেও পাওয়া যায়,যেখানে অধিকাংশ দোকানীর কোন ট্রেড লাইসেন্স নেই। নেই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির অনুমোদন। অথচ দেদারছে বেচাকেনা চলছে এই দাহ্য পদার্থের এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার। প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়লে প্রাণ হানির আশংকা রয়েছে। হাতের নাগালে গ্যাসের সিলিন্ডার পাওয়ার কারণে সাধারণ ক্রেতারা হয়তোবা অনেকটা খুশি কিন্তু দূর্ঘটনার ব্যাপারে খুব বেশী সচেতন নয়। তাই বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটলে দায়ভার কার?
জানা যায়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫২ ধারা অনুযায়ী সেবা গ্রহীতার জীবনের নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে এমন কোন কাজ করলে তিন বছরের কারাদ- বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদ-ের বিধান রয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানী সঠিকভাবে রক্ষণা-বেক্ষণ না করে পরিদপ্তরের কাগজপত্র লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে বেচাবিক্রি চলছেই।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আইন কানুন দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।