অসংখ্য জনপ্রিয় বাউল গান ও গণসংগীতের রচয়িতা বাউল শাহ্ আব্দুল করিমের ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (বৃহস্পতিবার)।
কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া, সখি কুঞ্জ সাজাও গো আজ আমার প্রাণনাথ আসিতে পারে, বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে, কোন মেস্তরি নাও বানাইছে, কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, আমি কূলহারা কলঙ্কিনী, আমি বাংলা মায়ের ছেলে- এসব জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা শাহ্ আব্দুল করিম। বাউল হিসেবে তিনি ছিলেন কিংবদন্তিতুল্য। তার গান ও সুরধারা সকল স্তরের মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। এই বাউল সম্রাট মহান মুক্তিযুদ্ধে পথে পথে ঘুরে গানের মাধ্যমে উজ্জীবিত করেছেন মানুষকে। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তিনি যেন আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। প্রতি বছরের মতো এবারও মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে তার ভক্ত বাউলরা সমবেত হয়েছেন তার বাড়িতে। গানের মধ্যে দিয়ে তাকে খুঁজতে ভক্ত ও স্বজনরা গানের আসর জমিয়ে তুলছেন। এই বাউল সম্রাটের মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে তার দিরাই উপজেলার উজান ধলের গ্রামের বাড়িতে দুপুরে মিলাদ মাহ্ফিলের আয়োজন করা হয়েছে, রাতে বসছে জমজমাট বাউল গানের আসর। জেলার বিভিন্ন এলাকার বাউল ভক্তরাও নানাভাবে স্মরণ করছেন শাহ্ আব্দুল করিমকে।
জনপ্রিয় এই বাউল সাধকের জন্ম ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দিরাই’র উজানধল গ্রামে। আমৃত্যু তিনি এ গ্রামেই ছিলেন। অত্যন্ত সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন তিনি। গানে-গানে অর্ধ শতাব্দিরও বেশি লড়াই করেছেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে। পেয়েছেন একুশে পদক।
শাহ আবদুল করিম পুত্র শাহ নুর জালাল জানান, ভোরে সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। বাদ যোহর মিলাদ মাহফিল, পরে তার কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা সভা। সন্ধায় শুরু হবে শাহ আব্দুল করিম গীতি আসর। এ আসর সারা রাত চলবে।