মো: জাহিদুল হক (জাহিদ)- রোগ নির্ণয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা, আর এই রোগ নির্ণয় করে থাকেন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট বা চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদগণ, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ হতে (০৪ বছরের) ডিপ্লোমা পাশ করেই মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট হন। সরকারি হাসপাতাল গুলোতে কয়েকলাখ মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট এর পদ শূন্য, এ ব্যাপারে সরকার উদ্যেগী না হওয়ায় জাতীয় দুর্যোগ যেমনঃ ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ও মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ নির্ণয়ে রীতিমত ব্যার্থ সরকারি হাসপাতালগুলো রাত (১২-০১টা) পর্যন্ত ডিউটি করেও সময়মতো রিপোর্ট করতে না পারা ও অল্প সখ্যক ছাড়া বাকী রোগীদের নির্ণয়ে ব্যার্থ সরকার এর প্রধান কারণ জনবল সংকট, বহু উপজেলা হাসপাতালে কোন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট নাই এমনও আছে আর এমতাবস্থায় মানুষ বাধ্য হয়ে বেসরকারী ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যাচ্ছে আর এ সুযোগে ডায়াগনষ্টিক সেন্টার মালিকরা মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ছাড়া রোগ নির্ণয়ের ভুয়া ও ভুল রিপোর্ট প্রদান করে রোগীর সাথে প্রতারণা করছে, হয়রানি হচ্ছে রোগীর. রাতারাতি বড় লোক হচ্ছে ক্লিনিক মালিকগণ আর এদের কাছে গোটা জিম্মি দেশ ও চিকিৎসা সেবা খাত,ভবিষ্যতে আসন্ন জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা করে প্রাণহানি কমাতে ও সকলের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী “এক (০১) জন ডাক্তারের বিপরীতে চার (০৪) জন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট” এর নিয়োগ ছাড়া কোন বিকল্প নাই। তার সাথে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট বিহীন হাসাপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধ ও ভুয়া মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট নামধারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখকঃ মো: জাহিদুল হক (জাহিদ)
মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব)
যুগ্ম আহ্বায়ক : বাংলাদেশ আওয়ামী মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (কেন্দ্রীয় কমিটি)
কোষাধক্ষ: বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট পরিষদম (ফেনী জেলা)