সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর বাজারে সোমবার হঠাৎ করেই ভোজ্য তেল বোতলজাত সোয়াবিন উধাও হয়ে যায়। যে কারণে ভোক্তা সাধারনের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়। এদিকে হঠাৎ করে সোয়াবিন তেল ঘাটতি নাকি পরিকল্পিত ভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে এবিষয়ে তাড়াশের সর্বসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরজমিনে তাড়াশ বাজারে ভোজ্য তেল বিক্রির দোকান ঘুরে দেখা যায়, কিছু দোকানে বোতলজাত তেল প্রকাশ্যে না রেখে কাটুনের ভিতরে আড়াল করে বিক্রি করছে। এদিকে অনেক ক্রেতার অভিযোগ ১ লিটার সোয়াবিনের বোতলের গায়ে মুল্য দেয়া আছে ১৬৮ টাকা অথচ দাম নিচ্ছে ২০০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছে হঠাৎ করেই মোকামে লুজ সোয়াবিনের দাম লিটার প্রতি ২০ থেকে ২২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে যে কারণে খুচরা বাজারে প্রভাব পরেছে। এদিকে টি কে গ্রুপ ও মেঘনা গ্রুপের ডিলার ও এস আর সাথে কথা বলে জানা যায়, এখন পর্যন্ত তাদের বোতলজাত সোয়াবিনের দাম বৃদ্ধি হয়নি। অপরদিকে, এক কেজি আলু কিনতে গুনতে হচ্ছে দেড় কেজি চালের মূল্যের সমান দাম। বহুল ব্যবহৃত সবজি খ্যাত আলু নামক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যটির মূল্য এতো পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ক্রেতাদের নাগালেন বাইরে চলে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট- বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। অর্থ্যাৎ দেড় কেজি চালর দামে কিনতে হচ্ছে এক কেজি আলু। এদিকে শীতের সবজি বাজারে উঠলেও দাম প্রায় আগের মতোই। বাজার করতে আসা রহিম, আফসার, সোহাগ, মুকুল আশকেন, রবিউলসহ একাধিক ক্রেতা জানান, জীবনেও আলুর এমন দাম দেখিনি। এটা কোন স্বাভাবিক দাম হতে পারে না। তাদের অভিযোগ এটা সিন্ডিকেট, সঠিক বাজার তদারকির অভাবে আলু, তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার এমন অস্থিতিশীল হয়ে ওঠেছে।
এ ব্যাপারে বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খালিদ হাসান বলেন, তাড়াশ উপজেলায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এরপরও দ্রব্যমূল্য অতিরিক্ত নেয়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখা হবে।
Please follow and like us: