১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

শিরোনামঃ-




চৌদ্দগ্রামে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

মোঃ শাহীন আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : মার্চ ২০ ২০২৪, ১৮:৪০ | 632 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চলতি বছর ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষক। আগামী ১০-১২দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেলে উপজেলার ১২৬হেক্টর জমিনের ভুট্টার ফসল ঘরে তুলতে পারবে তারা। এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামের ভুট্টা চাষী একাধিক কৃষক। ধানের চাইতেও অনেক কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এক সময়ের এসব ধান চাষের কৃষক ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন বলেও জানান তারা। এছাড়া ধান চাষে খরচ বেড়ে যাওয়া, শ্রমিকের অপ্রতুল্যতায় উপজেলায় ধান চাষ বাদ দিয়ে ভুট্টাসহ নানান জাতের ফসল চাষে আগ্রহ বাড়ছে। তবে নতুন চাষী হিসেবে ভুট্টার এ ফলনে উপজেলা কৃষি অফিসের পর্যাপ্ত সহযোগীতা পাননি বলেও অভিযোগ করেন একাধিক কৃষক। তারা আরও আশংকা প্রকাশ করে বলেন, নতুন চাষী হিসেবে ভুট্টার বিপনন/বিক্রি, সঠিকভাবে ফলন ঘরে তুলতে পারা নিয়েও তারা আশংকায় রয়েছেন। অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সহযোগীতা পেলে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে উপজেলায় ১২৬ হেক্টর জমিনে ভুট্টার চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। অধিকাংশ কৃষক ধামাকা জাতের ভুট্টার আবাদ করেছেন। তথ্যমতে আরও দেখা যায়, উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ৫হেক্টর জমিনে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ঐ ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামেই ৩.৫০হেক্টর ভুট্টার চাষাবাদ হয়েছে। গ্রামটির একাধিক কৃষকের প্রযুক্তিগত কোন সহযোগীতা না পাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্লক সুপারভাইজার জানান, উপজেলা থেকে প্রাপ্ত ভুট্টার প্রণোদনায় ঐ গ্রামের কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি বলেও স্বীকার করেন তিনি।
উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামের কৃষক মমিনুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর অন্তত ৪একর জমিনে ধানের চাষ করি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে কোন সহযোগীতা পাই নাই। খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছি, আমার নামও নাকি আজ পর্যন্ত কৃষক হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ধানে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং সময়মতো শ্রমিক না পাওয়ায় চলতি বছরে ৩.৫০একর জমিনে ভুট্টার আবাদ করি। নীলফামারীর ডিমলা থেকে ৭৫০টাকা দরে বীজ সংগ্রহ করে নিয়ে আসি। এখন পর্যন্ত আমার ৮০হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ ভুট্টার ফলনও ভালো হয়েছে। আগামী ১০-১২দিন আবহাওয়া ভালো থাকলে ভুট্টার ফলন ঘরে তুলতে পারবো। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোন সহযোগীতা না পেলেও পাকা ভুট্টা মাড়াইয়ে অন্তত যদি কৃষি অফিসের মাধ্যমে অন্তত যাতে মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়। এতে করে আমাদের খরচও আরও কমে আসবে।
একই গ্রামের কৃষক মোঃ ইউনুছ মজুমদার জানান, শখের বশে আমিও ৬০শতাংশ জমিনে ভুট্টার চাষ করি। ফলনও ভালো হয়েছে। আগামী ১০-১২দিন পরে পাকা ভুট্টা মাড়াইয়ে কৃষি অফিসের সহযোগীতায় মেশিন পেলে আমরা উপকৃত হবো।
মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ব্লক সুপারভাইজার আল আমিন জানান, চলতি বছরে মুন্সীরহাট ইউনিয়নে ৫হেক্টর জমিনে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ফেলনায় ৩.৫০হেক্টরে চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলা থেকে প্রাপ্ত ভুট্টার প্রণোদনা প্যাকেজ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু ফেলনায় কৃষকদের জন্য অন্য প্রণোদনা প্যাকেজ নেয়ায় ভুট্টার প্রণোদনা দেয়া যায়নি। তবে আমরা পরামর্শ দিয়ে তাদেরকে সহযোগীতা করেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জোবায়ের হোসেন জানান, চলতি অর্থ বছরে উপজেলায় প্রায় দ্বিগুন ভুট্টার আবাদ হয়েছে। মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফেলনায় ৩.৫০হেক্টর ভুট্টা চাষী কৃষককে ইউনিয়ন ব্লক সুপারভাইজার বুদ্ধি/পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করেছেন। সংশ্লিষ্ট কৃষকদের ভুট্টা বিক্রিতে সহযোগীতা চাইলে অবশ্যই উপজেলা কৃষি অফিস সহযোগীতা করবে। পাকা ভুট্টা মাড়াইয়ের জন্য চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় কোন মেশিন নেই। তবে সংশ্লিষ্ট ভুট্টা চাষী চাইলে অন্য উপজেলা থেকে মেশিন এনে মাড়াইয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

 

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET