১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • ঢাকা
  • দোহারের নারিশায় নতুন করে নদীভাঙ্গন, পদ্মায় বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি




দোহারের নারিশায় নতুন করে নদীভাঙ্গন, পদ্মায় বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : মে ২৭ ২০১৮, ০০:২৩ | 1039 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

ইমরান খান রাজ, স্টাফ রিপোর্টার:- নদীভাঙন এক নীরব ঘাতক। ঢাকার দোহার উপজেলায় প্রতিবছর নদীতে হারিয়ে যায় জনপদ, স্কুল, বাড়িঘর। ভিটেমাটি হারা হয় উপজেলার হাজারো দরিদ্র পরিবার। নিঃস্ব হয় হাজারো মানুষ। পথের ভিখারি হয়ে যায় শত শত বিঘা জমির মালিক। ১০ মিনিট আগেও যার ছিল একটি পাকা ঘরসহ জমি, সুখের সংসার, ঠিক ১০ মিনিট পর তার সর্বস্ব কেড়ে নেয় এই নীরব ঘাতক নদীভাঙন। আমাদের কিছুই করার থাকে না এই ঘাতক নদীভাঙনের কাছে। এখানে বিচার চাওয়ার কোনো উপায় নেই, যাওয়ার নেই কারো কাছে। থেকে যায় শুধুই আহাজারি।

দোহার উপজেলার নারিশা গ্রামে নতুন করে পদ্মা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ঐ এলাকায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে শুরু হয় নদীর পার ভাঙন। নতুন করে এই এলাকায় ভাঙনের ফলে ফসলি জমির পাশাপাশি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।

নারিশা ইব্রাহিমীয়া মাদ্রাসার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু মোল্লা বলেন, এবছর নদীভাঙ্গনের প্রকোপটা অনেক বেশি। যেভাবে প্রতিদিন পাড় ভাঙ্গছে, এই ভাবে ভাঙ্গলে কিছুদিনের মধ্যেই নারিশা বাজারের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এসময় ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান তিনি।

নারিশা এলাকার বাসিন্দা মো: মাহিম হোসেন বলেন, প্রতিবছর পদ্মার স্রোতে ভেঙ্গে যায় শতশত বসতবাড়ি। উপজেলা প্রশাসন থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে চলমান ভাঙ্গনের ফলে এলাকার মানুষ বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে। এসময় তিনি আরো বলেন, গতবছর থেকে কয়েকবার নদী তীরবর্তী এলাকা বাধের কার্যক্রমের কথা থাকলেও এই এলাকায় তা লক্ষ করা যায়নি। মেঘুলা পর্যন্ত বাধ দেওয়া হলেও নারিশা পর্যন্ত কাজ এখনো শুরু করা হয়নি।

গত শুক্রবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারিশা বাজার ট্রলারঘাট, খালপাড় গোডাউন সংলগ্ন পদ্মা পাড়ে নতুন করে ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। নদীপাড় থেকে ভাঙ্গন বসতবাড়ির কাছে চলে এসেছে। দ্রুত ভাঙ্গনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিস্তৃত হবে ভাঙ্গন এলাকা। এমতাবস্থায় দোহার উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে নারিশাবাসী।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

 

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET