আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শ্যালিকার বিয়েতে এসে স্বামী স্ত্রী’র দ্বন্দের জেরে শ্বশুর বাড়িতে বসে জামাতার বিষ পানে মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার অভিযোগ নিহতের পরিবারের। লাশ মর্গে প্রেরণ, পুলিশের ঘটনাস্থল পরিদর্শন।
সংশি¬ষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেঙ্গুটিয়া গ্রামের বেল¬াল সরদারের মেয়ে লিপি বেগমের সাথে আট বছর আগে কেরানীগঞ্জ থানার ইউসুফ চৌধুরীর ছেলে আজাদ চৌধুরী (২৫) এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর আজাদের স্ত্রী লিপি বেগম চাকুরীর সুবাদে স্বামী সন্তান রেখে সৌদি আরব চলে যায়। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বেশীরভাগ সময় আজাদ শ্বশুর বাড়িতে থাকায় তার বাবার পরিবারের সাথে তেমন ভাল সম্পর্ক ছিল না। লিপি বেগম বর্তমানে সৌদি আরব রয়েছেন। সম্প্রতি শ্যালিকার বিয়েতে চেঙ্গুটিয়া গ্রামে বেড়াতে আসে আজাদ। বিয়ের অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে প্রবাসী স্ত্রীর সাথে বৃহস্পতিবার ফোনে আজাদের সাথে চরম বাক বিতন্ডা হয়। বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে আজাদ একটি বাগানে ঢুকে বিষ পান করলে মুমূর্ষ অবস্থায় শ্বশুর বাড়ি ও স্থানীয় লোকজন আজাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে আজাদ মারা যায়। খবর পেয়ে আজাদের পরিবার সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। নিহত আজাদের বোন রাবেয়া ও বেয়াই হামিদ অভিযোগে বলেন, আজাদকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। তারা হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান। বরিশাল কোতয়ালী থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে আজাদের লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে মর্গে প্রেরণ করছে।
এ ঘটনায় রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার বলেন, আজাদের অপছন্দে প্রবাসে চাকুরীর কারনে স্ত্রীর সাথে তার সু-সম্পর্ক ছিলনা। অনুষ্ঠানে বসে স্ত্রীর সাথে ফোনে আজাদের বাকবিতন্ডার কথা তিনি জানতে পেরেছেন। স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তার উপর রাগ বা অভিমানে আজাদ বিষপান করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজাদের পরিবার বাড়তি সুবিধা নিতে আজাদকে হত্যার অভিযোগ আনছে।
আগৈলঝাড়া থানার এসআই গাজী মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, তিনি খবর পেয়ে চেঙ্গুটিয়া গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পোষ্ট মর্টেম রিপোর্টের পর পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।