
বিরামপুর উপজেলার খাঁনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন পাহান বিগত ১০ দিন ধরে পরিষদের কার্যালয়ে যাচ্ছেন না। এতে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এর আগেও দু’দিন করে গিয়েও চেয়ারম্যানকে পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ছাত্র আন্দেলনের মাধ্যমে সরকার পতনের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে কি কারণে তিনি আত্মগোপনে আছেন তা কেউই বলতে পারছেন না।
ইউনিয়নের বাসিন্দা খোকন মিয়া বলেন, রতনপুর বাজারে একটি পাবলিক টয়লেট স্থাপনের জায়গা নিয়ে লোকজনদের ভিতরে বিভেদ তৈরি হয়। যেটা সমাধানের জন্য চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি পরিষদে বসছেন না, এমনকি কারো ফোনও রিসিভ করছেন না। এতে করে ব্যপক জটিলতা দেখা দিয়েছে।
আরেক বাসিন্দা শামিম বলেন, ওয়ারিশন সনদের জন্য পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান না থাকার কারণে ফিরে আসতে হয়েছে। আমার মতো অনেকেই নানান কাজে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
বাজারের ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, চেয়ারম্যান অনেকদিন ধরে পরিষদে আসে না। এতে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কোন সনদ নিতে গেলে চেয়ারম্যান না থাকায় সাক্ষরের অভাবে কাজ হচ্ছে না।
খানঁপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা জামান বলেন, চেয়ারম্যান না আসার কারণে সাধারণ মানুষও পরিষদে তেমন সেবা নিতে আসছেন না। যারা আসছেন চেয়ারম্যানকে খুঁজে চলে যাচ্ছেন। তবে তার সঙ্গে মোবাইলে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে।
বিরামপুর উপজেলা র্নিবাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে উনি একটু ভয় পেয়ে রয়েছেন। তবে তিনি (চেয়ারম্যান) জানিয়েছেন তিনি এলাকার আশেপাশেই আছেন এবং শীঘ্রই পরিষদে বসবেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন পাহানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
Please follow and like us: