
দৌলতপুর প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাদিপুর গ্রামের আলসালেহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালেয়ে শিক্ষার্থীদেরদের জোর করে বিদ্যালয়ে কোচিং করানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আলসালেহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালেয়ের শিক্ষার্থীরা জানান আমরা বিদ্যালয়ে আসলে প্রধানশিক্ষিকার নির্দেশে সহকারী শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম আমাদের কোচিং করানোর জন্য চাপ দেন। কোচিং করতে না চাইলে আমাদের বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। আমরা বের হয়ে আসতে চাইলে আমাদের তিনি বলেন শরির থেকে পোশাক খুলে রেখে যেতে হবে, কারন এই পোশাক বিদ্যালয়ের দেওয়া। আমরা তখন বলি স্যার পোশাক বাড়ী থেকে খুলে নিয়ে আসছি তখন স্যার বলেন, না এখনি খুলে দাও। এ বিষয়ে ছাত্রীরা আরো জানান আমাদের প্রধানশিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিনের কথা মত গনিতের স্যার রাশেদ আমাদের এই ভাবে খারাপ আচরন করেন। বিষয়টি নিয়ে একজন অভিভাবক সাংবাদিকদের সামনে কেঁদেফেলেন এবং এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। তিনি আরো বলেন আমরা গরিব মানুষ ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠায় শিক্ষা গ্রহনের জন্য। তবে এভাবে স্কুলে স্যারেরা কোচিং করার জন্য চাপ দিলে আমাদের পক্ষে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপাই নাই। তিনি বলেন আমার মেয়ে আজ বাড়ী গিয়ে বলছে কোচিং করতে চাইনি বলে আমার পোশাক খুলে রেখে যেতে বলেছে রাশেদ স্যার। এই বিষয়ে আলসালেহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন এই ঘটনা মিথ্যা, আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। আশে-পাশে প্রায় বিদ্যালয়ে কোচিং চলছে কিন্তু আমরা করতে চেয়েছি তাহলে দোষের কি? শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধানশিক্ষিকার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান , প্রতি বিষয়ে ক্লাসে ৪৫ মিনিট সময় পান একজন শিক্ষক, এই ৪৫ মিনিটে যদি শিক্ষার্থীরাদের স্যারেরা কিছু বুঝাততে না পারেন তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা যখন একিই শিক্ষকের কাছে ৬০০ টাকা দিয়ে ১ ঘন্টা কোচিং করছে তখন কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া বুঝতে পারবে? তখন প্রধানশিক্ষিকা বলেন আমরা যেমন গণীত ক্লাসে বিভিন্ন রকম অংক আছে ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝতে পারেনা। কিন্তু কোচিংয়ে বোঝানো যায়কিনা আমরা চেষ্টা করে দেখবো। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হক মুঠোফোনে জানান কোচিং করার সরকারী ভাবে কোন নিয়ম নেই এবং নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিদ্যালয়ে কোচিং করাচ্ছে এটা অন্যায়। এই বিষয়টি ক্রমোশ ছড়িয়ে পড়ছে এটা সম্পুর্ণ অন্যায়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান বলেন আমি এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।