
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের হাতিকাটা এলাকায় সরকারি কৃষি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ সব মাটি কেটে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দূর্গাপুর ইউনিয়নের হাতিকাটা এলাকায় সরকারি খাস কৃষি ফসলি জমি থেকে খনন যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছেন এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। ওই সব জমির মাটি কেটে ৮/১০ থেকে ফুট গভীর গর্ত করা হচ্ছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে আশপাশের এলাকা। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমি। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এ ভাবে সরকারি মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর কোন অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এলাকার মৃত: হাবিবুর শেখের ছেলে তাহাবুর শেখ, জনি শেখসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে কেউ বাধা দিলে তারা মামলা-মোকদ্দমায় জড়ানোর ভয় ভীতি দেখায়।
দূর্গাপুর ইউনিয়নের হাতিকাটা এলাকার নাম প্রকাশে না করার শর্তে ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি ট্রাক মাটি ইট ভাটায় বিক্রি করা হয় তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়। প্রতি ট্রাক মাটি ইট ভাটায় পৌঁছানো পর্যন্ত খরচ হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। প্রতিদিন একটি খনন যন্ত্র দিয়ে ৮০ থেকে ১০০ ট্রাক মাটি কেটে বিক্রি করে থাকেন ওই সকল মাটি ব্যবসায়ীরা।
হাতিকাটা এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, কৃষি জমির মাটি কেটে ফেলায় এই এলাকা থেকে ফসলের আবাদ কমে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এ সব কৃষি জমি রক্ষা করা সম্ভব না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তাহাবুর শেখ জানান, আমি সরল মানুষ আমি এতো বুঝি না আমি জমি থেকে মাটি দিতে চাই নাই জনি শেখ আমাকে বলে তোমার কোন ভয় নাই তহসিল অফিস, আইন-আদালত, প্রশাসন সব আমি বুঝবো তোমাকে এক লক্ষ টাকা দিচ্ছি তুমি এটা নিয়ে গিয়ে বসে থাকো সে আরো বলে আমাকে মোট এক লক্ষ টাকাই দিছে। আমি আর কিছু জানি না।
এ ব্যাপারে দূর্গাপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসে যোগাযোগ করা হলে তহশিলদার আবুল কালাম জানান, এ ব্যাপারে আমি জেনেছি ঘটনা সত্য আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।