আরিফিন রিয়াদ, গৌরনদী ॥
পতাকা অবমাননা করা রাষ্ট্রোদ্রোহিতার সামিল। লাল-সুবজের পতাকাকে হৃদয়ে ধারণ করে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ৪ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের বিনিমিয়ে একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর জন্ম হয় বাংলাদেশেরএ। ছিনিয়ে আনা হয় এই পতাকাকে। পতাকা মানেই শুধু এক টুকরো কাপড় নয়, বরং এ পতাকা বহন করে একটি দেশের স্বাধীনতার পরিচয়কে। আর এর অবমাননা মানে জাতির হৃদস্পন্দন থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। জাতীয় পতাকার অসম্মানের অর্থ বাংলাদেশের জন্মইতিহাসকে উপেক্ষা করা।
আর এমটিই ঘটেছে বরিশালের গৌরনদীর টরকী বন্দর পুলিশ ফাঁড়িতে।নির্দিষ্ট সময়ের অধিক সময় পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রাখতে দেখা গিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটিতে।সরকারি ভাবে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিক ভাবে উত্তোলন ও নামানোর বিধান থাকলেও তার তোয়াক্কা না করেই বেশ কিছু দিন ধরেই সন্ধ্যা হওয়ার পরেও অধিক সময় পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ফলে এরুপ জাতীয় পতাকা অবমাননা করার বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
গত রবিবার (৪ ঠা মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার টরকী বন্দর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার টরকী বন্দরের এই পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তারা বেশ কিছু দিন ধরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছা মত পরিচালনা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় পতাকাও ইচ্ছা মত উত্তোলন ও নামানো হয়।
জাতীয় পতাকা গর্বের প্রতীক। এ পতাকার অবমাননা করা রাষ্ট্রোদ্রোহিতার সামিল। সূর্যোদয় থেকে কালো রাতের অন্ধকার পর্যন্ত পতাকা না নামানো যে জাতীয় পতাকার অবমাননা ও শহীদদের প্রতি অপমান! তা যেন কোন ভাবেই মানছেননা টরকী বন্দর পুলিশফাঁড়ির কর্মকর্তাগন ।
এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা নাছরিনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, জাতীয় পতাকা বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত উড়ানো যাবে বলে জনান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানার জন্য টরকী ফাঁড়ির ইনর্চাজের সরকারী মোবাইল নম্বরে ফোন করলে কনেস্টবল ২৭২ মোঃরুবেল ফোন রিসিভ করে বলেন স্যার নেই বলে জানান।