কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দশজন। রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আলকরা ইউনিয়নের সাতচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন; বাসের সুপারভাইজার কুমিল্লার জেলার ব্রাক্ষণপাড়া থানার রামনগর গ্রামের মৃত অতুল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্যামল চন্দ্র দাস, যাত্রী মুরাদনগর থানার রামচন্দ্রপুর কদমতলী গ্রামের মৃত মদন মিয়ার ছেলে নাসির মিয়া ও হেলপার শিবানীপুর গ্রামের মোস্তফা। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের উদ্দেশে হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস(ঢাকামেট্রো-ব-১৩-২৩০০) যাত্রা শুরু করে। পথিমধ্যে বেলা ১১টার সময় বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাতচর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুছড়ে যায়। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আহতদের উদ্ধার শেষে ফেনী ও চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থলে বাসের সুপারভাইজার শ্যামল চন্দ্র দাস, হেলপার মোস্তফা ও যাত্রী নাসির মিয়াসহ তিনজন নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত ১০ জন।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ মেহেদী হাসান সুজন বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করা হয়েছে’।
মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহত তিন জনের লাশ ও গাড়িটি উদ্ধার শেষে ফাঁড়িতে নেয়া হয়েছে। সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে’।