দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিটি মানুষের উচিত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা। এগুলো একদিকে যেমন প্রয়োজনীয় আবার অপরদিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত ডিজিটাল ও উন্নত হচ্ছে। উন্নত দেশে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে প্রয়োজন উন্নত তথ্য প্রযুক্তি এবং উন্নত সেবা৷ আর এই উন্নত সেবা সকল নাগরিকদের মাঝে পৌঁছে দিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা প্রয়োজন। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে গেলে জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক। জন্ম নিবন্ধন ব্যতীত কেউ-ই জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে পারবে না। আর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাংক একাউন্টসহ বেশিরভাগ উন্নত সেবা গ্রহণ করা প্রায় অসম্ভব।
সাধারণ মানুষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে উৎসাহিত করতে এইবছর ৬ অক্টোবরকে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার। জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ এর ৮ ধারা অনুযায়ী কোনো শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং কোন ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করার কথা রয়েছে। ৬ই অক্টোবর তারিখ-কে “জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস”-এর পরিবর্তে “জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস” হিসাবে উদযাপন এবং দিবসটিকে ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
একটি শিশুর জন্মের ৪৫দিনের মধ্যেই তাঁর জন্ম নিবন্ধন তৈরি করা উচিত। এই বিষয়ে প্রত্যেক বাবা-মায়ের গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন তৈরির ফিস বিনামূল্য করে দিয়েছে৷ আর এতে সাধারণ কর্মজীবী মানুষের কিছুটা হলেও উপকার হবে।
একটি শিশুর সঠিক শিক্ষার্জন, উন্নত চিকিৎসা সেবা, সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাওয়া অপব্যবহার, শোষণ ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পেতে এবং এসকল অধিকার রক্ষায় সঠিক সময়ে শিশুর জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করুন। একইভাবে কোন ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু নিবন্ধন তৈরি করা উত্তম। তাৎক্ষণিক এসব জন্ম বা মৃত্যু সনদ প্রয়োজন না হলেও যেকোনো সময় বা যেকোনো পরিস্থিতিতে এসব সনদগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে আমাদের জন্য। এইবছর জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের স্লোগান হচ্ছে ” সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন”। আসুন আমরা এই স্লোগান’কে সামনে রেখে নিজ পরিবার ও সমাজের সবাইকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পর্কে অবহিত করি ও তাঁদেরকে সচেতন করি।
Please follow and like us: