ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ
ৎঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নিকে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ আবারো একটি পেন্ডিং মামলা দিয়েছে। যার মামলা নং-০২, তারিখ ০১/০২/২০১৮ ইং । বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে নেয়া হলে বিজ্ঞ আদালত তার এ মামলায়ও জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে গত ১ ফেব্রয়ারী দুপুরে যশোর কোতয়ালী মডের থানাধীন রামনগর পিকনিক কর্নারের সামনে পাকা রাস্তার উপর ২০ দলীয় জোটের সক্রিয় নেতাকর্মীরা এজাহারভূক্ত ২৬জন সহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন নাশকতামুলক কর্মকান্ড করার জন্য সমাবেত হয়েছিল। জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা রক্ষাকারীদের উপর আক্রমন, দোকানপাঠ, পেট্টোল পাম্প, বৈদ্যূতিক স্থাপনাসহ সরকারী বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগসহ মানুষের জীবন এবং সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির াভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১টি গাড়ির পুরাতন পোড়া টায়ার, ২টি বিস্ফোরিত বোমার জর্দ্দার কৌটা অংশ ৩ টুকরা, ১০টি লোহার জালের কাটি, ৬টি কাচের মার্বেল, ৬ টুকরা ছেড়া কাটা কালো কসটেপ, হাতবোমা সাদৃশ্ব বস্তু ৪টি, একটি ৭ফটি লম্বা গছেরগুড়ি, ও ১৫টি বাশের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। সাবিরা নাজমুল মুন্নির নামে কোতয়ালী মডেল থানায় ২টি ও ঝিকরগাছা থানায় একটি নামকতামুলক মামলায় গত ১৩ ফেব্রয়ারী মহামান্য হাইকোট থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়েছেন বলে জানাগেছে। এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় যশোর বিমানবন্দর থেকে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ সাবিরা নাজমুল মুন্নিকে আটক করে। পরদিন মঙ্গলবার কোতয়ালী থানার মামলা নং-০১, তারিখ ০১/০২/২০১৮ ইং আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দ্দেশ দিয়েছিলেন। সাবিরা নাজমুল মুন্নির স্বামী শহীদ নাজমুল ইসলাম ছিলেন ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও যশোর জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক। ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে অপহরণ হয়ে গুপ্ত হত্যার শিকার হন নাজমুল ইসলাম। নাজমুল ইসলাম ছিলেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী জননেতা তরিকুল ইসলামের অত্যান্ত আস্তাভাজন। সাবিরা নাজমুলের স্বামী শহীদ নাজমুল ইসলাম ছিলেন ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির অত্যান্ত জনপ্রিয় নেতা। নাজমুল ইসলাম খুন হওযার পর নেতাকর্মীদের আন্তরিকতায় গৃহবধু থেকে রাজনীতিতে নামে সাবিরা নাজমুল মুন্নি। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রয়ারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে নির্বাচিত হন মুন্নি। দেশের প্রথম মহিলা হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত সাবিরা নাজমুল মুন্নি অল্প দিনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্যও হন তিনি । উল্লেখ্য.এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় যাওয়ার সময় যশোর বিমানবন্দর থেকে সাবিরা নাজমুলকে আটক করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। আদালত চত্তরে ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুণ অর রশীদ, সাবিরা নাজমুল মুন্নির বৃদ্ধ শশুর বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ভাসুর নজরুল ইসলামসহ বিএনপি, যুবদল ছাত্রদল মহিলাদলের বিপুল সংখ্যাক নেতৃকর্মী উপস্থিত ছিলেন।