
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতিটি মাঠে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এই উপজেলায় কিছু মাঠে আগাম রোপা আমন রোপণ করেছিল। কিন্তু উজানের পানি ও টানা বৃষ্টিতে বেশ কিছু বোনা আমন ও চাষকৃত রোপা ধান পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বর্তমানে বর্ষার পানি স্থিতিশীল থাকায় প্রায় সব মাঠেই উচু শ্রেনীর জমিগুলোতে রোপা আমন চাষের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাড়াশ উপজেলার সব ইউনিয়নের মাঠে কৃষকদের এখন মূল ব্যস্ততা রোপা আমন ধান চাষাবাদ নিয়ে। পাওয়ার টিলার ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ দিয়ে জমি চাষের পর চারা রোপণে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও বিশেষ করে আদিবাসী নারীদের এই কাজে বেশি দেখা যাচ্ছে। আবার জমির আগাছা অপসারণ, বীজতলা থেকে চারা তোলার কাজে নারীদের বেশি দেখা যাচ্ছে। কারণ পুরুষ শ্রমিকের তুলনায় নারী শ্রমিকের মজুরি কম এবং কাজও বেশী করে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১৩ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আর এবার আবাদ হয়েছে ও হবে ১৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে। এবারও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এবং দ্বিগুণ ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৫ হাজার ২৫০ হেক্টর। এই বিষয়ে তালম ইউনিয়নের গোন্তা গ্রামের কৃষক আজিজুল হোসেন বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও জমি প্রস্তুত করে রোপা আমন রোপণ করা হচ্ছে। বিঘা প্রতি খরচ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি বিঘায় ধান পাওয়া যায় ১৫ থেকে ১৬ মণ। তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ উপজেলায় রোপা আমন লাগানো এখনো শেষ হয়নি। ৭০ শতাংশ জমিতে কৃষক ধান লাগিয়েছে। এবারে লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে যাবে।
Please follow and like us: