সিরাজঞ্জের তাড়াশে শিম চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক কবির হোসেন সহ অনেক কৃষক। আগাম শিম চাষ করে ভালো ফলন আর দাম বেশি পাওয়া যায় এমনটা বলছেন তারা। এ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া শিম চাষে বেশ উপযোগী হওয়ায় নিচু ধানের জমির মাঝে মাঝে নালা কেটে মাটি উঁচু করে এখন শিম চাষ করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর শিম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূল ও ভালো ফলনে শিম চাষ হয়েছে ৫০ হেক্টরে। এ অঞ্চলে রূপভান ও ইফশা নামে দুটি জাতের শিম বেশি চাষ হয়েছে। সাধারণত বীজ রোপণের ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসতে শুরু করে। উপজেলায় সব থেকে বেশি শিম চাষ হয় নওগাঁ, নাদোসৈয়দপুর, কাঁটাবাড়ি, মথুরাপুর, সোলাপাড়া। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠের মাঝে মাচায় নীল-বেগুনি রঙের শিম ক্ষেতগুলো শরতের আকাশের সাথে মিতালীর নয়ানাভিরাম দৃশ্য দেখে বেশ মন কাড়ল। শিম ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কারসহ পোকা-মাকড় প্রতিরোধে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। মথুরাপুর গ্রামের কৃষক শাহালম হোসেন বলেন, প্রায় ৪-৫ বছর ধরে আগাম শিম চাষ করে আসছি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও বাজারে শিমের দাম ভালো। বাজারে নতুন শিম উঠছে। তবে সামনের সপ্তাহে পুরোদমে শিম বাজারে আসবে। কাঁটাবাড়ি গ্রামের কৃষক মেহেদী, জাকারিয়া, শাকিল আহমেদ বলেন, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা দরে। নওগাঁ গ্রামের আলামিন হোসেন বলেন, এ বছর ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে ১ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন তিনি।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলায় আগের চেয়ে শিম চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে যে কারণে মাঠ পর্যায়ে অফিসারদের তদারকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। শিম চাষিদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হচ্ছে, শিম চাষের ক্ষেতে পানি জমে থাকলে স্যাঁতসেঁতে মাটিতে শিম গাছের গোড়ায় নেমাট (কৃমি জাতীয় পোকা) আক্রমণ করে শিকড় নষ্ট এবং ফুল পচে কুশি গজানোর ক্ষমতা হারায়। তাই শিমগাছের গোড়া পচা রোগ দেখা দিলে ছত্রাকনাশক বা পানিতে পরিমিতভাবে বোরিক এসিড মিশিয়ে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যায়।
Please follow and like us: