
দৌলতপুর প্রতিনিধি:- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার খলিসাখুন্ডী মালুপাড়ার পিঁচ রাস্তার মাঝে পিলার পুতা এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে চোখে পড়ে মালুপাড়ার মধ্যে দিয়ে বড়গাংদীয়া বাজার হয়ে দৌলতপুর আসার প্রধান পিচ রাস্তাতে পিলার পুতে তার গোড়াতে ঢালাই করা। এসময় এলাকাবাসি জানান এই পিলারটি চেয়ারম্যান সাহেব ব্রিজ রক্ষার জন্য ব্রিজের সামনে কোন করে পুতে রেখে ছিলেন, কারন এই রাস্তাটিতে ১০ চাকার যান চলার অনুমতি নাই। তবুও কিছু ১০ চাকার ট্রাক এই রাস্তাটি ব্যবহার করছে। ব্রিজটা ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ব্রিজটা রক্ষার জন্য চেয়ারম্যান পিলার পুতেন, যাতে ট্রাক না ডুকতে পারে। কিন্তু নিজের সার্থের জন্য স্থানীয় ইট ভাটা কেকেবি এর মালিক জটু মালিথার ছেলে কামাল ব্রিজের কাছ থেকে পিলারটি উঠিয়ে মালুপাড়ার পিঁচ রাস্তার মাঝ বরাবর পিলার পুতে রেখেছে। এতে জনগণের চলাচলের অসুবিধা হলেও ব্রিজের উপর দিয়ে তার ভাটাতে ২৫ টন ওজনের ট্রাক ঠিকি আসছে এবং মাটির গাড়ি ও ইট টানা গাড়ি ঠিকি চলছে সব সময়। অভিযোগ নিয়ে ইট ভাটাতে গেলে কামাল সাহেবকে না পাওয়া গেলে তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং হুমকির সুরে তিনি এক জাতিয় নেতা ও তার এপিএসের নাম ব্যবহার করেন। পরে জানা যাই ঐ জাতিয় নেতার সাথে তার আদিও কোনো যোগাযোগ নাই। দৌলতপুর উপজেলাতে মোট ২৪ টি ভাটার ভিতরে তারটিও কোনো এক অদৃশ্য কারনে গাছ পুড়িয়ে চলছে ইট পুড়ানোর কাজ। ভাটার চার পাশে আবাদি জমি হওয়াতে চাষ হচ্ছে ধান সহ বিভিন্ন ফসল। ইটের সাইজ অন্যান্য ভাটার চেয়ে অনেক ছোট কেন প্রশ্ন করলে ইট পুড়ায় মিস্ত্রী সফিকুল ইসলাম জানান ভাটা মালিকে যাতে লাভ বেশি হয় সেই জন্য ইট ছোট করা হয় কারন ৩ টা ইট ছোট তৌরি করলে একটি ইট বাড়ে । এ বিষয়ে ভাটার সার্বিক দেখাশুনা করেন কামাল সাহেবের ভাতিজা মাবুদ জানান আমাদের ভাটাতে খড়ি আসছে ব্রিজের উপর দিয়ে, ২৩ থেকে ২৫ টনের ওজনের গাড়ীতেই আসছে। উক্ত বিষয়ে খলিসাখুন্ডী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান আমি ব্রিজটা ঝুকিপূর্ন হওয়াতে ব্রিজের সামনে পিলারটি পুতি যেন এলাকার সব ধরনের যান চলতে পারে শুধু ১০ চাকার ট্রাক ছাড়া। কিন্তু সকালে আমি দৌলতপুরে জরুরি কাজে গেলে বিকেলে ফিরে শুনছি ইট ভাটা মালিক পিলারটি তার সুবিধার জন্য ঐখান থেকে তুলে মালুপাড়ার রাস্তার মাঝে পুতেছে যাতে তার ট্রাক ঠিক ঢুকতে পারে। তিনি আরো জানান কামালকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান আমি উপরের অনুমতিক্রমে পুতেছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌফিকুর রহমান জানান আমি বিষটি শুনেছি এবং চেয়ারম্যান সাহেবকে পিলারটি তুলার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।