
সিরাজগঞ্জ চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী ও ১৯৭১-সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, শরণার্থী শিবিরে অসহায় মানুষদের নৌকায় পারাপার ও খাবার রান্না করে সরবরাহ কারি- মমতাজ বেগম এখন মৃত্যু পথযাত্রী। – মমতাজ বেগম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আশীর্বাদপ্রাপ্ত। এখন এই নারী অর্থাভাবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এনায়েতপুরের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মমতাজ বেগম হৃদরোগসহ নানা ব্যাধি রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে স্ট্রোক হলে তাকে জরুরি ভাবে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথার রক্তনালী ছিঁড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তার শরীরের অবস্থা সংকটাপন্ন। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, ৭২ ঘণ্টা মমতাজ বেগমকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন, এজন্য লাগবে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকা। এই চিকিৎসার ব্যয় তার দারিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভ্যব নয়। সিরাজগঞ্জ এনায়েতপুর, চৌহালী উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী আব্দুস সাত্তার খলিফা জানান, মমতাজ বেগম ১৯৭১-সালে মুক্তিযুদ্ধে সময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, শরণার্থী শিবিরে অসহায় মানুষদের খাবার রান্না করে সরবরাহ করেছে তাই তাঁর পাশে আমাদের থাকা উচিৎ আমি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তার চিকিৎসার সকল খরচ বহন করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সিরাজগঞ্জ এনায়েতপুর উপজেলার ১ সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী মমতাজ বেগমের এই করুণ পরিনতি রাজনীতিকে নিরুৎসাহীত করবে। অর্থ ও চিকিৎসার অভাবে ক্রমাগত মৃত্যুর দিকে এগুচ্ছে এক সময়ের সাহসী এই নারীটি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন আমাদের কে এই লজ্জা থেকে বাচাঁন। এই লজ্জা শুধু সিরাজগঞ্জ সহ এনায়েতপুর বাসির নয়, এই লজ্জা রাজনীতির। তাকে অন্তত উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশ বা দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবে তার চিকিৎসার শেষ চেষ্টা করুন। তাইলে অন্তত রাজনীতির ইজ্জত বাচঁবে। মমতাজ বেগমের ছেলে এনায়েতপুর থানা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাফিজ জানান, আমার মা ও বাবা আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী। তারা সম্পদ বিক্রি করে মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতা ও আওয়ামী লীগের কাজে ব্যয় করেছেন। যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে মূল ভূমিকা পালন করলেও টাকার অভাবে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেনা। কেউ খোঁজও নিচ্ছেনা। এলাকার এমপি মমিন মণ্ডলের কাছে আমার মা চিকিৎসা সহায়তা চেয়ে আবেদন করলেও কোনো সহায়তা পায়নি। কেউ হাসপাতালে দেখতে যাওয়া তো দুরের কথা, খোঁজ খবরও নেয়নি।