
সাইফুল ইসলাম সাকিবঃ
মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুরপাড় সহ তার জমিতে কৃষি অফিসে পরামর্শ অনুযায়ী হাইব্রিড লাউ চাষ করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মাহারকান্দি গ্রামের কৃষক সিরাজ মাহাজন। তিনি এখন বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন।
সরেজমিনে উপজেলার চাদঁপুর ইউনিয়নের মাহারকান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, পুকুরপাড় সহ তার ৫০ শতাংশ জমিতে মার্টিনা সুপার, নাইস গ্রীন ও লিডার এই তিন জাতের বর্ষাকালীন হাইব্রিড লাউ চাষ করেন তিনি তার মাচাতে এখন
শত শত লাউ ঝুলছে তার পুকুরপাড় সহ তার জমিতে এখন সবুজের সমারোহ।
সফল লাউচাষি সিরাজ মাহাজন জানান,
শীতের মৌসুমে লাউয়ের ফলন মোটামুটি হলেও দাম ভালো পাননি,তাই কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী বর্ষা মৌসুমে লাউ চাষ করে এখন সাফল্য পেয়েছেন তিনি,, তার লাউ চাষে খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, এখন তিনি প্রতি পিস লাউ বিক্রি করছেন ৬০-৭০ টাকায়, এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা লাউ বিক্রি করতেন পারবেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান,,জমিতে মাচা করতে বাঁশ, তার, সুতা, সার, বীজ, কামলা বাবদ প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন এবং আরো ৮০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। লাউ শেষ হলে সেই জাংলায় শশা চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি লাউ গাছে রাসায়নিক কীটনাশক স্প্রে করেন না। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পোকা মাকড় দমন করেন। এবং এলাকার কৃষকরা প্রতিনিয়ত তার কাছে পরামর্শ নিতে আসে তার মাচায় এখন যাকে যাকে লাউ।
স্থানীয় লোকেরা জানান, শীত কালে লাউ চাষ হয় কিন্তু এই প্রথম সিরাজ মাহাজন বর্ষা মৌসুমে লাউ চাষ করে অল্প সময়ের মধ্যে সফল হয়েছে, তার সফলতা দেখে গ্রামের অনেকে লাউ চাষ করার পরিকল্পনা করছে, কৃষি অফিস যদি গ্রামের কৃষকদের সহযোগিতা করে তাহলে লাউ চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান,
বর্ষাকালে লাউ চাষ একটি লাভজনক কৃষি, শীতকালে লাউ চাষ করলে ও বর্ষা মৌসুমে লাউ চাষ করেন না কেউই, কিন্তু এই সর্বপ্রথম তজুমদ্দিনে বর্ষা মৌসুমে কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী অল্প দিনে এই হাইব্রিড লাউ চাষ করে, কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন বলে জানান।
Please follow and like us: